Description
তপোধীর ভট্টাচার্য
মিশেল ফুকো : তাঁর তত্ত্ববিশ্ব
You must be logged in to post a review.
Related products
-
জাঁ-পল সার্ত্র
লেখকের অস্তি নাস্তি অবস্থিতিজাঁ-পল সার্ত্র-এর (১৯০৫-১৯৮০) ষাট এবং সত্তর বছরে নেওয়া দুটি সাক্ষাৎকার নিয়ে এই বই।
প্রথম সাক্ষাৎকারটি যখন দিচ্ছেন, তার কিছু পরেই সাহিত্যে নোবেল নিতে অস্বীকার করছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি শেষ হচ্ছে এই প্রত্যাখ্যান নিয়ে তাঁর ক্ষুরধার বক্তব্য দিয়ে, ‘কোন আকাদেমি বা কোন পুরস্কারের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না।… আমার বই যদি লোকে পড়ে, তবে সে-ই হতে পারে আমার সেরা সম্মান।’
দশ বছর পরে তিনি বৃদ্ধ হয়েছেন, চোখে আর দেখতে পান না মোটেই, ভাবছেন কী ভাবে তাঁর কাজ চালিয়ে নিয়ে যাবেন, কিন্তু একই সঙ্গে জানাচ্ছেন, ‘আমার মন দশ বছর আগের মতোই এখনও সমান ধারালো— ধার বাড়েনি হয়তো, কিন্তু কমেও যায়নি।’
বিশ শতকের অদম্য এই মেধাজীবীর বহু বিষয়ে ভাবনার প্রাসঙ্গিকতাকে খানিক স্পর্শ করা যাবে এই বইয়ে।
₹ 160.00 -
বেলা চক্রবর্তী।। ভোলানাথ ভট্টাচার্য
মৃত্যু দাহ সমাধিভাববাদী হিন্দু ধর্মে মৃত্যুচিন্তা এক বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। মৃত্যুকে ভাববাদীরা কখনওই জীবনের শেষ বলে মানেননি। মৃত্যু তাঁদের কাছে এক তীর্থের পান্থনিবাস ছেড়ে আর-এক তীর্থের অভিমুখে যাওয়া, জীর্ণবাস ছেড়ে নতুনতর পোশাক পরা। মৃত্যুচিন্তার এই প্রসারিত ভূমি কিন্তু ভারতীয় বস্তুবাদী দৃষ্টিতে মেলে না। শুধু মেলে না নয়, যাবতীয় প্রেতকৃত্যকে বস্তুবাদীরা ব্রাহ্মণদের চাতুরী ছাড়া অন্য কিছু ভাবেন না সেভাবে দেখলে এ দৃষ্টিতেও কিন্তু মৃত্যুকে নিরঙ্কুশ নঞর্থক ভাবা সমীচীন নয়। মানুষ মারা গেলে দেহ নামক বস্তুর অপসারণ ঘটে ঠিকই, কিন্তু বস্তু অপসৃত হলেও থেকে যায় তার মানসিকতা, যা ঐ বস্তুরই প্রতিফলন। বস্তুবাদীদের এই অক্ষয় মানসিকতা থেকে ভাববাদীদের অবিনশ্বর আত্মার সম্পর্ক তা হলে কি খুব দূরের? মৃত্যু মানে যে বিচ্ছিন্নতা নয়, বরং জগৎ আর জীবনের সঙ্গে সে এক অখণ্ড সূত্রে গ্রথিত, সেটা দেখানোই এ বইয়ের উদ্দেশ্য। এ বিষয়ে সুপণ্ডিত দুই লেখকের গ্রন্থনা।
₹ 60.00Version : ebook - hardcopy -
টি এস এলিয়ট
মার্ডার ইন দ্য ক্যাথিড্রাল
ভূমিকা সম্পাদনা ভাষান্তর : সলিল বিশ্বাসএলিয়টের সুবিখ্যাত এই কাব্যনাট্যে রয়েছে এক ধর্মীয় আবহ। এর মূল দ্বন্দ্ব ঐহিক ও আত্মিক– এই দুই জগতের মধ্যে; পার্থিব দায়বদ্ধতা আর ঈশ্বরের কাছে দায়বদ্ধতার মধ্যে। কিন্তু শেষ অবধি এ নাট্যে সেই দ্বন্দ্ব উত্তরিত হয় ব্যক্তির নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতা ও শাসকের প্রতি বিশ্বস্ততার চিরন্তন বিবাদে। কোন্টা শ্রেয়? স্বেচ্ছাচারী, অনৃতভাষী, চাটুকারিতা-প্রিয় শাসকের কাছে নতি-স্বীকার, না মৃত্যুর সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে মানুষের কাছে এবং নিজের বিবেক আর বিশ্বাসের কাছে অনুগত থাকা? এই প্রশ্ন গোটা নাটকে অনুরণিত। ধর্মের গণ্ডি ছাড়িয়ে কালজয়ী এই নাটক। ভাষান্তর ও টীকাভাষ্য : সলিল বিশ্বাস।
₹ 100.00 -
উইলিয়াম শেক্সপীয়ার
মার্চেন্ট অফ ভেনিসষোড়শ শতকের অন্তিমে লেখা এই নাটক অসামান্য গঠন আর মননের কারণে আজও সমান প্রাসঙ্গিক। শেক্সপীয়ারের যাবতীয় চরিত্রের মধ্যে এ নাটকের শাইলক অনবদ্য। যদিও পাঠক বা দর্শক শাইলককে বরাবর খলচরিত্র হিসেবেই দেখেছে, এবং এ নাটককে কমেডি ছাড়া কিছু ভাবেনি, তবু অন্তর্নিহিত পাঠ বা subtext বদলায় না। একদিকে পোর্শিয়ার ক্ষুরধার বুদ্ধি, আর অন্যদিকে ভেনিসবাসী এক ব্যবসায়ীর (নামচরিত্র?) চরম বিপর্যয়ের ট্র্যাজেডি এই নাটককে স্মরণীয় করে রেখেছে। সিদ্ধার্থ বিশ্বাসের অসাধারণ ভাষান্তরে চিরকালের নাটক নতুন করে উপস্থাপিত এ কালের পাঠকদের জন্য।
₹ 60.00Version : ebook - hardcopy -
মানিক দাস
আশপাশের মানুষজন
অসমের প্রেক্ষাপটে বস্তুত এ এক প্রেমের আখ্যান। অসংখ্য দ্বন্দ্বতন্তুর অনিঃশেষ কাটাকুটিতে নির্মিত এই আখ্যান কার্যত অসমিয়া-বাঙালির সম্পর্ক ও সম্পর্কহীনতার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের জলছবি। মানুষজনের দ্বন্দ্ব, সামাজিক অস্থিরতা, সংশয়, উদভ্রান্তি ও স্বার্থপরতা এই যাপনকথায় প্রকট।
লেখক অসমবাসী। অসম ও বাংলায় সুপরিচিত। অসমিয়া ও বাংলা, দুই ভাষাতেই তিনি লেখেন। ফলে তাঁর বয়ানে এ আখ্যানের গুরুত্ব অন্যরকম হতে বাধ্য। এ বয়ানের পরতে-পরতে ক্রমোন্মোচিত অভিজ্ঞতার নির্যাসে রয়েছে সমাজ-বাস্তবতার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একটি প্রণয়োপাখ্যানকে কেন্দ্র করে এ হল আশপাশের মানুষজনের চলমান জীবনালেখ্য।
অসমে সাম্প্রতিক সমস্যার প্রেক্ষিত বুঝতে বাংলা সাহিত্যে এই নতুনতর সংযোজন অনেকটাই সাহায্য করবে।
₹ 495.00 -
মাঝি রামদাস টুডু রেস্কা
খেরওয়াল বংশা ধরম পুথি বা সাঁওতাল জাতির ধর্মপুস্তকমূল বইয়ের অবিকল পুনর্মুদ্রণ-সহ বাংলা অনুবাদ : সুহৃদকুমার ভৌমিক
ভারতীয় আদিবাসী সমাজে আত্মানুসন্ধানের ইতিহাস খুব দীর্ঘ নয়। এ দেশের আদিবাসীদের মধ্যে অগ্রণী সাঁওতাল সমাজের যে-কয়জন মহাপুরুষ প্রথম থেকেই তাঁদের ধর্ম-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ে সচেতন হয়েছিলেন, মাঝি রামদাস তাঁদের অন্যতম। তিনি লক্ষ করেছিলেন সাঁওতাল সমাজে তাঁদের ধর্ম ও সংস্কৃতি নিয়ে অনেক কাহিনী, গাথা ও গান প্রচলিত থাকলেও তা লিখে রাখার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অফুরন্ত এই মৌখিক সাহিত্যের ভাণ্ডার সম্পর্কে লোকের কোন ধারণা নেই। এই দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে প্রায় বারো বছর তিনি সাঁওতাল অধ্যুষিত অঞ্চলে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেন, এবং প্রায় নিজের উদ্যোগে তা প্রকাশ করেন ১৮৯৪ সালে। এই বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়-এর আন্তরিক আগ্রহে। তিনি স্বয়ং এর একটি ভূমিকাও লিখে দেন। ১৯৫১ সালে প্রকাশিত এই সংস্করণটি অবশ্য মাঝি রামদাস দেখে যেতে পারেননি। পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন-ও এই বইয়ের প্রকাশের ব্যাপারে বিশেষ ভাবে উৎসাহী ছিলেন। মহামূল্যবান এই বইয়ের অবিকল পুনর্মুদ্রণ-সহ এটি অনুবাদ করে বাংলাভাষী পাঠকদের হাতে তুলে দিলেন আদিবাসী ভাষা-বিশেষজ্ঞ স্বনামধন্য সুহৃদকুমার ভৌমিক। এই অনুবাদের দায়িত্ব স্বয়ং সুনীতিকুমার-ই তাঁকে একদা দিয়ে গিয়েছিলেন। বলা যায়, এত দিনে সেই আরব্ধ কাজ সম্পন্ন হল।
₹ 450.00
Reviews
There are no reviews yet.