Description
অমিয়া সেন
অরণ্যলিপি
দণ্ডকারণ্যে পুনর্বাসিত বাঙালি শরণার্থীদের চোখে-দেখা উপাখ্যান
“কোন গৃহস্থ বধূর চক্ষে ও প্রাণে যে-জিনিস বেশি করে ধরা পড়া উচিত তা-ই পড়েছে ‘অরণ্যলিপি’-তে। অর্থাৎ শরণার্থীদের মন ও মানসিকতা। শরণার্থী নর-নারী-শিশুরাও যে মনাধিকারী মানুষ, তাদের মনটিকে বাদ দিয়ে কেবল কতটা জমি, কতটা টাকা, কতটা তৈজসপত্র কী ব্যবস্থায় দেওয়া হয়েছে বা হয়নি— তা দিয়ে তাদের বোঝা যাবে না। দলিল-দস্তাবেজ-সমন্বিত তথ্য ও তত্ত্ব খুব বেশি বের না হলেও, সরকারি দপ্তর থেকে যথারীতি কিছু-না-কিছু প্রকাশ হয়। কিন্তু দপ্তর-পরিবেশিত তথ্য-পর্বতের নিচে মানুষগুলি কোথায় চাপা পড়ে আছে— তাদের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা, দুঃখ-ভয়-বেদনা নিয়ে, সে-কথা সংবেদনশীল সাহিত্যকর্মীরই দেখা সম্ভব— বিশেষ করে তিনি যদি নারী হন। যুদ্ধবিগ্রহ, দাঙ্গা ও দেশত্যাগ ইত্যাদির কঠিনতম দুর্ভোগ, অত্যাচার ও নির্যাতনের প্রধান শিকার হয় বোধ-হয় নারীরাই।… কিন্তু এ কেবল গৃহদাহ ও গৃহত্যাগের কথা নয়, দেশবিভাগের রক্তাক্ত পটভূমিকায় দেশত্যাগের ফলশ্রুতির কথা। কাজেই নারীর ক্ষুদ্র আঙিনার বাইরের বৃহৎ জগতের কথাও অবশ্যম্ভাবী ভাবে উপস্থিত হয়েছে। আর কথাটা উঠেছে পুনর্বসতির পরিপ্রেক্ষিতে।”
আজ থেকে প্রায় ষাট বছর আগে এ বই প্রথম প্রকাশের সময় ভূমিকায় লিখেছিলেন পান্নালাল দাশগুপ্ত। তাঁরই পরামর্শে, একজন বাঙালি শিক্ষিকা হিসেবে তরুণ উদ্বাস্তু মেয়েদের পড়ানোর জন্য অমিয়া সেন দণ্ডকারণ্যে যান। তাঁর আসল লক্ষ্য কিন্তু ছিল ‘সরকারি’ সংস্করণের বিপরীতে, এই অঞ্চলে পুনর্বাসিত উদ্বাস্তুদের অবস্থার সত্যতা খুঁজে বের করা। কারণ এই পুনর্বাসন প্রকল্প সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য ছিল না বললেই চলে। দণ্ডকারণ্যে কয়েক মাস কাটানোর পর, অমিয়া সেন বিস্তারে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করেন, যা ‘অরণ্যলিপি’-র রূপ নেয়।
প্রায় হারিয়ে-যাওয়া এই লেখা নতুন করে আবার প্রকাশিত হল আজকের পাঠকদের জন্য।
প্রথম মনফকিরা সংস্করণ
পেপারব্যাক, ২৭২ পৃষ্ঠা
Reviews
There are no reviews yet.