Customize Consent Preferences

We use cookies to help you navigate efficiently and perform certain functions. You will find detailed information about all cookies under each consent category below.

The cookies that are categorized as "Necessary" are stored on your browser as they are essential for enabling the basic functionalities of the site. ... 

Always Active

Necessary cookies are required to enable the basic features of this site, such as providing secure log-in or adjusting your consent preferences. These cookies do not store any personally identifiable data.

Brands

Sort By: Sort by latest
View: 16
  • অঁরি মাতিস
    এক চিত্রকরের জীবনভাবনা

    লেখা কথা রেখা

    আধুনিক পশ্চিমি চিত্রজগতে আচার্যস্থানীয় অঁরি মাতিস এক চিত্রকরের জীবন ও ভাবনার স্বচ্ছ ও সৎ, নির্ভরযোগ্য ও ধারাবাহিক এক বিবরণ রেখে গেছেন তাঁর লেখায় ও কথায়। সেখানে পশ্চিমি শিল্পী ও শিল্পধারার নির্ভেজাল বিশ্লেষণ আছে, সে-সব গ্রহণ-বর্জনের যুক্তি আছে, আছে নিজেরও যাত্রাপথের খুঁটিনাটি। নিজের সৃষ্টির প্রক্রিয়া কী, কী ভাবে তিনি দেখেন, কী ভাবেন, নিজেকে প্রস্তুত করেন কী ভাবে, অবশেষে কাজ করার সময়ে তাঁর বিশেষ লক্ষ্য থাকে কোন্ দিকে— সে-সবই তিনি অবিরল ধারে বলে গেছেন। প্রতিটি ছবির কথা তিনি মনে করতে পারেন, কী তার উৎস, কোন্‌ ধারার সঙ্গে যোগ, রূপের বৈশিষ্ট্য, কী ছিল সেখানে তাঁর অন্বিষ্ট— কোন কাজেরই কোন অনুপুঙ্খ তিনি ভোলেন না। মেজাজে তিনি শান্ত, স্থিতধী, নিজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন ও মনস্ক। একই সঙ্গে ছবি আঁকার জন্য তিনি ছবি-আঁকা বাদে আর সমস্ত কিছুকে সরিয়ে রেখে জীবনকে সরল করে আনার কথা বলেন, প্রায় সন্তের মতো প্রয়োজনকে নামিয়ে আনতে বলেন ন্যূনতমে, আসলে বোধ হয় নিরঙ্কুশ এক জীবনসাধনার দিকেই তিনি ইঙ্গিত করেন।

    এই জীবনসাধনা নিয়ে এক মহৎ চিত্রকরের ভাবনার কথা তাঁরই লেখা আর কথায় এই বইয়ে থাকল, আর থাকল তাঁর কিছু রেখা।

    সংকলন ভাষান্তর সম্পাদনা : সন্দীপন ভট্টাচার্য

     360.00
  • বব মার্লে
    রক রেগ্যে রাস্তা আর শিকড়ের গান

    বব মার্লে গান গাইতেন। বুক নিংড়ে গাইতেন। জামাইকায় থাকতেন তিনি, ফিরতে চাইতেন নিজভূমি আফ্রিকায়– তাঁর গোষ্ঠীর অন্যান্যদের মতো। এঁরা রাস্তাফারিয়ান। রাস্তা-র দর্শন গুরুবাদী, ইথিওপিয়ার রাজা প্রথম হাইলি সুলাসি-কে এঁরা মনে করেন পুনরুত্থিত খ্রিস্ট, আর সেই নিয়ে খ্রিস্টানদের সঙ্গে এঁদের ঝগড়া। বস্তুত এ এক প্রান্তিক দর্শন, জীবনের বহু কিছু এখানে আশ্চর্য সরলতায় জড়িয়ে আছে। গান আর দর্শন এখানে একাকার, এর কোন কিছুকেই পরস্পরের থেকে ঠিক আলাদা করা যায় না।

    এই বইয়ে রয়েছে বিভিন্ন সময়ে নেওয়া রাস্তা গোষ্ঠীর সাঙ্গীতিক কণ্ঠস্বর বব মার্লে-র সাতটি সাক্ষাৎকারের সম্পাদিত বয়ান, আর তাঁর সুখ্যাত কয়েকটি গানের কথা– যেখানে পাওয়া যাবে তাঁর মর্মজীবনের কথা। আর তাঁর কর্মজীবনের কথা আছে সংশিষ্ট পঞ্জিতে।

    মার্লে-র গান যাঁরা শুনেছেন, আশা করা যায় এই বইতে তাঁরা তাঁর কণ্ঠস্বর শুনতে পাবেন।

     220.00
  • বারীন সাহা
    চলচ্চিত্রাক্ষর

    ‘তের নদীর পারে’র মতো অদ্বিতীয় ছবির পরিচালক বারীন সাহা সারা জীবনে ছবি করার সুযোগ পেয়েছেন ঐ একটাই, তার সঙ্গে ‘চেঞ্চু’ বা ‘ভাসা’র মতো দুটি ডকুমেন্টারি আর ‘শনিবার’-এর মতো স্বল্প দৈর্ঘ্যের একটি ছবির কথা ধরলে যা দাঁড়াবে, তা দিয়ে বাংলা ছবির জাবদা ইতিহাসে তাঁর নাম লেখার মতো প্রায় কোন জায়গাই জোটে না। পাশাপাশি এ কথাও স্মর্তব্য যে বারীন সাহা তাঁর সময়ে কেতাবি মতেই রীতিমতো শিক্ষিত পরিচালক ছিলেন। খোদ ইয়োরোপে গিয়ে চলচ্চিত্রের পাঠ নিয়েছিলেন হাতে-কলমে, কতিপয় তাবড় পরিচালককে দেখেছিলেন কাছ থেকে, এমনকী পেশাদার হিসেবে ঐ বিদেশেই কাজ করেছিলেন সহকারের। তাঁর স্থান-কালের পরিসরে এ যোগ্যতা আর কার ছিল? কার ছিল এই অভিজ্ঞতা? তবু কেন আর ছবি করলেন না তিনি, কেন তার কোন সুযোগ পেলেন না? ছবি করলেন না তো সারা জীবন করলেন কী? তার কিছু-কিছু সংকেত মিলবে এই বইতে। অদ্বিতীয় এই চলচ্চিত্র-পরিচালকের লেখা কয়েকটি প্রবন্ধ, সাক্ষাৎকার আর কথোপকথনের বয়ান নিয়ে এই সংকলন। সেই সঙ্গে এই আশ্চর্য মানুষটির জীবন আর কাজকে বোঝার জন্য রয়েছে তাঁর অনুরাগী ও সহকর্মী-সহমর্মী কয়েকজনের লেখা।

     245.00
  • ছবি-কথায় আব্বাস কিয়ারোস্তামি
    চেরির স্বাদ ও অন্যান্য
    সংকলন ও ভাষান্তর : সন্দীপন ভট্টাচার্য

    কিয়ারোস্তামি-র ছবির ঠিক বর্ণনা বা ব্যাখ্যা ইত্যাদি হয় না। একমাত্র উপায় হল তাঁর ছবি দেখা। শুধু চোখে দেখাও নয়, কিয়ারোস্তামি চান তাঁর ছবির অদৃশ্য নানান অংশ দর্শক নিজের মনে-মনেও খানিকটা দেখুন, অদৃশ্য ফাঁকগুলো মনে-মনে খানিকটা পূরণ করে নিন। তাঁর ছবি দেখে লোকে খুব তৃপ্ত বা সন্তুষ্ট হোক, এ তিনি চাননি। বরং চেয়েছেন তাদের অস্বস্তি হোক, আর তা কাটাতে তারা বাধ্য হোক তাঁর ছবি নিয়ে ভাবতে, কথা বলতে।

    জীবিত থাকতেই তাঁর নাম চলচ্চিত্রের মহান সব স্রষ্টাদের সঙ্গে একই আসনে সংরক্ষিত। যে-জায়গা থেকে গোদার বলেছিলেন, “… চলচ্চিত্রের শেষ কিয়ারোস্তামি-তে।”

    এ বইয়ে কিয়ারোস্তামি-র সঙ্গে সাত সাক্ষাৎকারীর কথাবার্তার সম্পূর্ণ বয়ান এবং আরও সাত সাক্ষাৎকার থেকে প্রশ্ন বাদ দিয়ে শুধু কিয়ারোস্তামি-র নিজের কথার অংশবিশেষ রয়েছে। সেই সঙ্গে আছে আর-এক যুগান্তকারী চলচ্চিত্রকার আকিরা কুরোসাওয়া-র সঙ্গে কিয়ারোস্তামি-র কথোপকথনের বয়ান। বছর-সাতেক আগে এ বই প্রথম প্রকাশের সময় কিয়ারোস্তামি-র কবিতার তেমন অনুবাদ বাংলায় হয়নি। বলা যায়, বাংলাভাষী পাঠকের কাছে সেই ছিল কবি কিয়ারোস্তামি-র প্রথম আবির্ভাব। ইতিমধ্যে অনেকেই তাঁর কবিতার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন, অনেকে অনুবাদ করেছেন, বই করেছেন, এ কারণে এই বইয়ে কবিতার অংশ সম্পূর্ণত বাদ দেওয়া হল। থাকল কেবল চলচ্চিত্রী এবং অংশত আলোকচিত্রী আব্বাস কিয়ারোস্তামি-র কথা।

     285.00
  • ঋত্বিককুমার ঘটক
    নিজের পায়ে নিজের পথে
    এক কথা-কোলাজ

    বাংলা চলচ্চিত্রের এই পথিকৃৎ চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি চলচ্চিত্র এবং জীবনযাপনের সমূহ বিষয়ে তাঁর ভাবনা ও অভিজ্ঞতার কথা যেমন অসংখ্য মূল্যবান রচনায় ব্যক্ত করেছেন, তেমনই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মুখে-মুখে বলেছেন নানান কথা। সেই সমস্ত সাক্ষাৎকারের বয়ান থেকে তাঁর মুখের কথাকে ভেঙে, নতুন করে সাজিয়ে গড়ে তোলা এই কথা-কোলাজ। এক-একটা বিষয়ের ঘেরে, তাঁর জীবনানুক্রম বজায় রেখে সংকলিত।

    নতুন সংস্করণে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মূলের ইংরেজি থেকে আরও দুটি সাক্ষাৎকারের অনূদিত বয়ান।

     320.00
  • রামকিঙ্কর বেইজ
    আমি চাক্ষিক, রূপকার মাত্র

    বিশ শতকের প্রথম ভাগে এদেশে শিল্পকলার ক্ষেত্রে আধুনিকতার সূচনা হয়েছিল যাঁদের হাত ধরে, রামকিঙ্কর বেইজ তাঁদের অন্যতম। চিত্রকলা এবং ভাস্কর্য, উভয় মাধ্যমেই তাঁর কাজের পরিমাণ ও গুণমান বিস্ময়কর।

    রামকিঙ্করকে বোঝার জন্য তাঁর কাজই যে বার-বার দেখতে হবে, বহু বার বহু সময় নিয়ে দেখতে হবে, তা বলাই বাহুল্য। সেই সঙ্গে ভালো হয় যদি তাঁর শিল্পদৃষ্টি ও শিল্পচিন্তা সম্পর্কেও খানিক ধারণা থাকে।

    এই বইয়ে সংকলিত তাঁর নিজের পাঁচটি রচনা, একটি বক্তৃতার বয়ান, কয়েকটি চিঠি, চারটি সাক্ষাৎকার, এবং সেই সঙ্গে কয়েকটি সাক্ষাৎকারের বয়ান ভেঙে বিষয় অনুযায়ী সাজিয়ে তৈরি করা একটি রচনায় মনে হয় সে-ধারণা তৈরির ক্ষেত্রে কিছুটা সাহায্য মিলবে।

     250.00
  • সোমশঙ্কর রায়
    মুখোমুখি সোমনাথ হোর

    বছর-কুড়ি আগে পুরনো পরিচয়সূত্রে অগ্রজ শিল্পী সোমনাথ হোরের সঙ্গে সামনা-সামনি কথা বলার সুযোগ হয় অনুজ শিল্পী সোমশঙ্করের। সোমনাথ হোরের বয়স তখন আশি ছুঁয়েছে। ভারতবর্ষ ছাড়িয়ে তাঁর পরিচিতি তখন বিদেশেও। বেশ কয়েকটা বড়-বড় প্রদর্শনী হয়ে গেছে বিভিন্ন জায়গায়, তাঁকে নিয়ে অনেক লেখাপত্তর বেরিয়েছে। নিজেও, নিজের সম্পর্কে নানা জায়গায় নানান কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারে সে-সব কথা নতুন করে এসেছে। আর মধ্যে-মধ্যে রয়েছে এমন কিছু কথা, যা হয়তো আগে বলা হয়নি। খানিক সময়ের ব্যবধানে দু-বার কথা হয়। প্রথম বার, তাঁর জীবনের কথা, রাজনীতির কথা। দ্বিতীয় বার, কথা হয় তাঁর কাজ নিয়ে, তার মধ্যে অনেকটা জুড়ে ছিল করণকৌশল নিয়ে তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা।

    সোমনাথ হোরের জন্মের একশো বছরে অগ্রজ শিল্পীর সঙ্গে অনুজের এই আলাপচারিতা নানা কারণেই মূল্যবান। সঙ্গে রয়েছে প্রাসঙ্গিক কিছু ছবিপত্তর।

    প্রথম সংস্করণ, ৬৮ পৃষ্ঠা

     160.00
  • জাঁ-পল সার্ত্র
    লেখকের অস্তি নাস্তি অবস্থিতি

    জাঁ-পল সার্ত্র-এর (১৯০৫-১৯৮০) ষাট এবং সত্তর বছরে নেওয়া দুটি সাক্ষাৎকার নিয়ে এই বই।

    প্রথম সাক্ষাৎকারটি যখন দিচ্ছেন, তার কিছু পরেই সাহিত্যে নোবেল নিতে অস্বীকার করছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি শেষ হচ্ছে এই প্রত্যাখ্যান নিয়ে তাঁর ক্ষুরধার বক্তব্য দিয়ে, ‘কোন আকাদেমি বা কোন পুরস্কারের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না।… আমার বই যদি লোকে পড়ে, তবে সে-ই হতে পারে আমার সেরা সম্মান।’

    দশ বছর পরে তিনি বৃদ্ধ হয়েছেন, চোখে আর দেখতে পান না মোটেই, ভাবছেন কী ভাবে তাঁর কাজ চালিয়ে নিয়ে যাবেন, কিন্তু একই সঙ্গে জানাচ্ছেন, ‘আমার মন দশ বছর আগের মতোই এখনও সমান ধারালো— ধার বাড়েনি হয়তো, কিন্তু কমেও যায়নি।’

    বিশ শতকের অদম্য এই মেধাজীবীর বহু বিষয়ে ভাবনার প্রাসঙ্গিকতাকে খানিক স্পর্শ করা যাবে এই বইয়ে।

     160.00
  • ফেদেরিকো ফেলিনি
    একটি ছবির জন্ম ও অন্যান্য
    নির্বাচিত রচনা বক্তৃতা সাক্ষাৎকার

    চলচ্চিত্র-পড়ুয়াদের কাছে ইতালির মহত্তম পরিচালক ফেদেরিকো ফেলিনি (১৯২০-১৯৯৩) অবশ্যপাঠ্য। ‘লা স্ত্রাদা’, ‘লা দোলচে ভিতা’, ‘এইট অ্যান্ড হাফ’ বা ‘আমারকর্দ’-এর মতো আশ্চর্য সব কিংবদন্তি তৈরি হয়েছে তাঁর হাতে। অবশ্যপাঠ্য বলতে প্রথমত ফেলিনি-র ছবিই যে আগে পড়তে হবে, অর্থাৎ দেখতে হবে, সে-কথা বলা বাহুল্য। তার পরে আসে অন্যান্য সূত্র, অর্থাৎ তাঁর সম্পর্কে তাঁর নিজের এবং সমালোচকদের ভাষ্যপাঠের প্রশ্ন। কিন্তু সমালোচকরা কেউ তাঁকে বলেছেন ভণ্ড, ক্লাউন একটা, পাক্কা শয়তান। কেউ আবার বলেছেন, ওঃ যাদুকর লোক, পুরোদস্তুর কবি, সত্যিকারের প্রতিভাবান। বেশ। কিন্তু ফেলিনি নিজে কী বলছেন? নিজের জীবন, নিজের ছবি ইত্যাদি নিয়ে তাঁর নিজের ভাবনাটা কী? এ বইতে ঠিক সেই ভাবনার হদিশই রয়েছে ফেলিনি-র নিজের বয়ানে। আধুনিক চলচ্চিত্র নিয়ে উৎসাহী পাঠকের অবশ্যপাঠ্য।

     300.00
  • জ্যাক কেরুয়াক, উইলিয়ম বারোজ ও অ্যালেন গিনসবার্গ-এর সঙ্গে কথোপকথন
    বিট প্রজন্ম অফবিট প্রসঙ্গ

    “কেরুয়াক আর জন ক্লেলন হোমস-এর সঙ্গে ১৯৫০-৫১ সালে সমকালীন প্রজন্মের চরিত্র নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রথম কথাটা উঠে আসে। কেরুয়াক এই প্রজন্মের কোন সুসঙ্গত চরিত্রের কথা অস্বীকার করে এবং বলে ওঠে, ‘আঃ, বিট প্রজন্ম ছাড়া কিছু নয় আমরা।’ হোমস তারপর নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর ম্যাগাজিনে ১৯৫২-য় একটা প্রবন্ধ লেখে, যার শিরোনাম ছিল ‘এ হল বিট প্রজন্ম’। ব্যাস, তারপর এটাই দাঁড়িয়ে গেল।

    “এর বছর-দশেক আগে টাইমস স্কোয়ারে এ কথা আকছার বলা হত, ‘ওহে, আমি একজন বিট…’, মানে পয়সাকড়ি কিছু নেই আমার, থাকার একটা জায়গা পর্যন্ত নেই। অর্থাৎ এর আদত মানে হল আমি পরিশ্রান্ত, একেবারে অতলে তলিয়ে আছি, ঘুমোইনি কতদিন, সমাজ আমায় প্রত্যাখ্যান করেছে ইত্যাদি।… কিংবা ‘উন্মুক্ত’, হুইটম্যান যে-অর্থে উন্মুক্ততার কথা বলেছেন, প্রায় বিনম্রতার সমার্থক, কোন-কোন মহলে যার মানে পরিশ্রান্ত হলেও আমার সত্তা কিন্তু যে-কোন দিব্য অভিজ্ঞতা গ্রহণ ও অনুধাবনের জন্য উন্মুখ ও প্রস্তুত।

    “মিডিয়া এর কদর্থ করা শুরু করলে কেরুয়াক কথাটা আর-একটু মার্জিত করে। যেমন তারা বলে, এর মানে নাকি সম্পূর্ণ পরাজিত, কিংবা ড্রামের বিট ইত্যাদি, যা একেবারেই ভুলভাল। কেরুয়াক তখন শব্দটার উৎসে ফিরে যায় এবং জানায় যে beat মানে be-at, যেমন কিনা beatitude বা beatific। ‘বিট প্রজন্মের উৎস’-এ সে এভাবেই কথাটা ব্যাখ্যা করেছে। সত্তার অন্ধকার বা অজ্ঞানতার অন্ধকার সরিয়ে যা আলো আসার পথ খুলে দেয়, অহংশূন্য করে এবং ধর্মীয় উদ্ভাসের পথ মুক্ত করে।” (অ্যালেন গিনসবার্গ)

    বিট প্রজন্মের তিন দিকপাল— কেরুয়াক, বারোজ আর গিনসবার্গ-এর তিনটি দীর্ঘ কথোপকথন নিয়ে এই বই। আলোচিত প্রসঙ্গের মধ্যে আছে– গদ্যের স্টাইল, নীল কাসাডি, হাইকু; শব্দ-নৈঃশব্দ্যের কাটাছেঁড়া, মায়া-পুঁথি, নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতা; ব্লেক, সেজান, কবিতা ও দিব্যদর্শনের ভূমিকা ইত্যাদি অফবিট নানান প্রসঙ্গ।

    সংকলন, সম্পাদনা ও ভাষান্তর : সন্দীপন ভট্টাচার্য

     200.00
  • সিমন দ্য বোভোয়া
    মেয়েদের হার মেয়েদের জিত

    এই বই শুরু হচ্ছে লেখিকার আত্মজীবনীর (১৯৬৩) নির্বাচিত অংশ দিয়ে এবং তারপর রয়েছে ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে তিনটি সাক্ষাৎকারের বয়ান। আত্মজীবনের প্রসঙ্গে এবং সংযোজিত সাক্ষাৎকারের বয়ানে মেয়েদের জীবন ও সংগ্রামের নানা দিক নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছেন সিমন, এসেছে তাঁর প্রবাদপ্রতিম বই ‘দ্য সেকেন্ড সেক্স’-এর কথা, আধুনিক নারীবাদের সূচনা ও পরবর্তী বিকাশের কথা, সেই সঙ্গে তাঁর সারা জীবনের লেখাপত্র নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। নতুন এই সংস্করণে আরও সংযোজিত হয়েছে বিশ্বজোড়া নারী-আন্দোলনের বেশ কিছু পোস্টারের প্রতিলিপি।

     160.00
  • আবীর আবদুল্লাহ
    আয়না কথা

    বাংলাদেশের আইকনিক চিত্র-সাংবাদিকদের যে লম্বা তালিকা, তার গ্রাফের ওপরের দিকে আবীর আবদুল্লাহর বাস। কাজের জায়গায় সোজা-সাপটা, বাহুল্যবর্জিত, ড্রামা-হীন একজন আলোকচিত্রী। নিজের ফটোগ্রাফি নিয়ে পরিষ্কার তাঁর লজিক এবং ব্যাখ্যা : “আমি এইভাবে দেখেছি.. বিশেষ কিছু দেখতে চাইনি…। যা আছে তাই…।”

    তেমন তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা ছাড়াই সোজা-সাপটা কথার আলোকচিত্রী। কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, দৃক, পাঠশালা, ই.পি.এ, ওয়ার্ল্ড প্রেস, আর্ট বনাম ফটোগ্রাফি– এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ছাত্র-শিক্ষকের আলাপচারিতা– আয়না কথা।

    প্রথম সংস্করণ, ২১৯ পৃষ্ঠা

     385.00
  • খ্রিস্তভ কিয়েসলোভস্কি
    প্রেম ও হত্যা
    দুটি ছবির চিত্রনাট্য/ পরিচালকের বক্তব্য ও সাক্ষাৎকার

    ‘প্রেম’ ও ‘হত্যা’ নিয়ে এই দুটি ছোট ছবি আদতে খ্রিস্তভ কিয়েসলোভস্কি পরিচালিত পোলিশ টেলিভিশনের জন্য তৈরি দশটি ছবির সিরিজ ‘ডেকালগ’-এর অন্তর্গত। তার মধ্যে এ দুটি ছবি (ডেকালগ ৫ ও ৬) একই সঙ্গে সামান্য পরিবর্তনসাপেক্ষে ‘আ শর্ট স্টোরি অ্যাবাউট লভ’ এবং ‘আ শর্ট স্টোরি অ্যাবাউট কিলিং’ নামে স্বতন্ত্র দুটি কাহিনিচিত্র হিসেবেও নির্মিত হয়। এখানে প্রকাশিত দুটি চিত্রনাট্যই ঐ কাহিনিচিত্রের। এই সংকলনে আরও আছে ‘ডেকালগ’ নিয়ে পরিচালকের দুটি সাক্ষাৎকার এবং আলাদা করে এ দুটি ছবি নিয়ে তাঁর বক্তব্য।

    পরিবর্ধিত প্রথম বইপত্তর সংস্করণ, ১১৪ পৃষ্ঠা

     180.00
  • আমার কথা

    আত্মজীবনকথার সংকলন

    ‘মাসিক বসুমতী’র পাতায় একসময়ে ‘আমার কথা’ শিরোনামে এদেশের শীর্ষস্থানীয় সব সঙ্গীত-ব্যক্তিত্বের আত্মজীবনকথা প্রকাশিত হত। কখনও তা সাক্ষাৎকারের ঢঙে, কখনও বা বর্ণনামূলক গদ্যে। স্বাক্ষরিত রচনা নয় কোনটাই। ফলে বোঝা যায়, নানা সময়ে এসব লেখা নানা জনে লিখেছেন।

    প্রায় বছর-ষাটেক আগে প্রকাশিত এসব লেখা সঙ্গীত বিষয়ে আগ্রহী পাঠকের এখনও হয়তো কোন উপকারে লাগতে পারে। সে-কথা ভেবেই নির্বাচিত কয়েকটি লেখা নিয়ে এই সংকলন। প্রতিটি লেখার শেষে প্রকাশকাল দেওয়া আছে, আর লেখাগুলি সাজানো হয়েছে গুণী এই সব সঙ্গীতজ্ঞের জন্মসাল অনুযায়ী।

    যাঁদের কথা আছে :
    ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ।। গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ।। উদয়শঙ্কর ।। রাইচাঁদ বড়াল ।। তিমিরবরণ ভট্টাচার্য ।। কৃষ্ণচন্দ্র দে ।। পঙ্কজকুমার মল্লিক ।। ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায় ।। হীরেন্দ্রকুমার গঙ্গোপাধ্যায় ।। ওস্তাদ মুস্তাক আলি খাঁ ।। রাধারাণী দেবী ।। দক্ষিণামোহন ঠাকুর ।। রাধিকামোহন মৈত্র

     100.00
Shop
Filters
0 Wishlist
1 Cart