-
বীতশোক ভট্টাচার্য
ছবি দেখা ছবি শেখা : সিনেমা নিয়ে লেখাবীতশোক ভট্টাচার্য-র কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ একটি যৌথ কাব্য সংকলনের মধ্য দিয়ে, প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। তাঁর চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রথম লেখাটিও প্রকাশিত হয়েছিল ঐ ১৯৭৪-এই। এর থেকে ধারণা করে নেওয়া যায়, শুরু থেকেই সিনেমা নিয়ে তিনি সমান আগ্রহী ছিলেন। বীতশোক সিনেমা নিয়ে শুধু লিখেছেন এমন না, তথ্যচিত্রের জন্য যৌথ ভাবে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন, ধারাভাষ্য লিখেছেন, চলচ্চিত্র বিষয়ক বই সম্পাদনা করেছেন, এমনকী এ বিষয়ে পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গেও একসময় যুক্ত ছিলেন।
প্রকাশিত তাঁর দুটি প্রবন্ধের বইয়ে চারটি সিনেমা বিষয়ক লেখা গ্রন্থিত হয়েছে, সুতরাং পাঠকের কাছে বীতশোক ভট্টাচার্য-র ভাবনার এই দিকটি একেবারে অজানা, এমন নয়। তার পরও, কবি ও সাহিত্যের নানা বিষয়ে প্রাবন্ধিক পরিচয়েই আমরা বীতশোককে বেশি জানি, তাঁর ভাবনার অন্য এই দিকটি সাধারণত আলোচনার বাইরে থেকে যায়।
সিনেমা-র বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর মৌলিক ভাবনার খানিকটা ধরা থাকল সিনেমা নিয়ে তাঁর গ্রন্থিত ও অগ্রন্থিত রচনার এই সংকলনে।
প্রথম সংস্করণ,
পেপারব্যাক, ১১২ পৃষ্ঠা₹ 240.00 -
ছবির রাজনীতি রাজনৈতিক ছবি
তৃতীয় ভাগসংকলন ও বিন্যাস : সন্দীপন ভট্টাচার্য
এ বই যখন প্রথম বেরিয়েছিল তখন এ বিষয়ে আর-একটিও বাংলা বই ছিল না, এবং এখনও, খুব সম্ভবত নেই। মাঝে যদিও, তিন দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এটা এ বইয়ের পক্ষে সুখবর নয়। যদিও এই সময়ে ছবি ও রাজনীতি নিয়ে কথা কিছু কম হয়নি, কিন্তু এ দুয়ের পরস্পর-সম্পর্ক নিয়ে কথা বলার দায় এবং ঝুঁকি সংশ্লিষ্ট সকলেই সুবিধামাফিক এড়িয়ে গেছেন। তাই সেই পুরনো সংকলনই ফের নতুন করে, নতুন চেহারায় বের করতে হচ্ছে, এবং সেটা তিন ভাগে ভেঙে, আর তার কারণ বিশদে বইয়ের শুরুতে বলা আছে। সেখানে এ কথাও বলা আছে যে নতুন লেখাপত্র যোগে ভবিষ্যতে আরও দু-একটি ভাগও বেরোতে পারে। আগের সংকলনের সঙ্গে নতুন এই সংকলনের প্রধান প্রভেদ মুদ্রিত ছবির সংখ্যায়, আগে যে-সব ছবি ছাপা যায়নি, এবার তার অনেকটাই যোগ করা গেছে। তাতে এই সংকলনে বোধ হয় একটা পূর্ণতা এসেছে।
এই ভাগে যা আছে : ভারতীয় শিল্পকলার সামাজিক পটভূমি নিয়ে ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের একটি লেখা, চিত্তপ্রসাদ-এর দুটি লেখা ও বন্ধুকে লেখা চিঠির নির্বাচিত অংশ, দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার-ভিত্তিক একটি লেখা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শোভন সোম ও শুভেন্দু দাশগুপ্তের দুটি লেখা।
প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ ইতিমধ্যেই প্রকাশিত, এটি এই বইয়ের তৃতীয় এবং আপাতত শেষ ভাগ।
₹ 280.00 -
ভোলানাথ ভট্টাচার্য
শিল্পভাবনাবাঙালি জাতটি ইদানীন্তন বা ভুঁইফোড় নয়; নিছক উদরপূর্তি ছাড়া জীবনকে সৌন্দর্যে ও লাবণ্যে মণ্ডিত করার জন্য এবং অন্তর্নিহিত শিল্পচেতনাকে বহুধা বিকশিত করে তোলার জন্য যুগ-যুগ ধরে সামাজিক স্তরে তার এক ব্যাপক ও নিগূঢ় প্রয়াস ও সাধনা চলে এসেছে। সেই বিস্তীর্ণ শিল্পচর্চা, যা বাঙালির প্রাণবত্তারই সমষ্টিগত প্রকাশ, তা যুগে-যুগে কী ভাবে এবং কেন কোন্ রূপ পরিগ্রহ করেছে, তার আঁকাবাঁকা স্রোতে কোথা থেকে কোন্ জলরাশি এসে তাকে পুষ্ট করেছে, তার নিজের বহুমুখী অবয়বের পরস্পরের মধ্যে কোন্ মিথস্ক্রিয়া তার অগ্রগতিতে কী ভাবে সহায়তা করেছে— এই সব প্রাসঙ্গিক বৃত্তান্ত কথঞ্চিৎ স্বচ্ছ হলে বোধ হয় বাঙলার শিল্পের অদ্যতন রূপটির সম্যক্ উপলব্ধি সম্ভবপর হয়। এতাদৃশ উপলব্ধির অভীপ্সায় চঞ্চল হয়ে প্রয়াত লেখক দীর্ঘদিন যাবৎ এই দুরূহ সন্ধানে ব্রতী ছিলেন। এই গ্রন্থ তার পরিণাম।
₹ 300.00 -
নবপত্রিকা : ভেষজ চরিত
সংকলক : নুসরাত জাহান
নবপত্রিকা কি নয়টি পাতা, নাকি বর্ষার ঢল নেমে যাওয়ার পর নতুন পলি মাটিতে গজিয়ে ওঠা নতুন কিশলয়? হরপ্রসাদ শাস্ত্রী থেকে সুহৃদকুমার ভৌমিক সেই তর্ক জারি রেখেছেন। শরৎকালের এই মহাপূজায় বাসন্তীও দখল চেয়েছেন। সমস্ত আগ্রাসন, দূষণ আর উপনিবেশের বাঁধ ভেঙে আজও শরতের নতুন পলিতে এই সব পাতারা মাথা তোলে। বানভাসি কৃষাণির মতোই নতুন জন্মের আনন্দে ঝলমল করে ওঠে তাদের শক্তি। দেবীর ভক্তদের মতোই উপমহাদেশের মাটি শেষ অধ্যায়ে মাথা নত করে নবকিশলয়ের কাছে।
পুরাণে, লোককথায়, মিথে ও মিথস্ক্রিয়ায় নবপত্রিকার ন-টি পাতা।
প্রথম সংস্করণ
পেপারব্যাক, ৫৬ পৃষ্ঠা₹ 125.00 -
শুভেন্দু দাশগুপ্ত
দ ত্ত কে বি নশুভেন্দু দাশগুপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন অর্থনীতি, তা নিয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন, পত্রিকা করেছেন। অবসরের পর সরে এসেছেন অন্যতম আগ্রহের বিষয় শিল্পকলায়। বাংলার কার্টুন, পোস্টার ইত্যাদি জনশিল্পের নানান রূপ নিয়ে গবেষণা করেছেন, বই লিখেছেন, এবং এভাবে প্রায়-অবহেলিত এই সব শিল্পরূপকে নতুন করে জনমানসে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
দ ত্ত কে বি ন : তাঁর প্রথম এবং এখনও পর্যন্ত একমাত্র উপন্যাস।
প্রথম সংস্করণ
পেপারব্যাক, ৭২ পৃষ্ঠা₹ 160.00 -
নাগিব মাহ্ফুজ
আত্মজীবনীর প্রতিধ্বনিআধুনিক আরবি সাহিত্যের এক প্রধান লেখক নাগিব মাহ্ফুজ। সাহিত্যকৃতির জন্য তিনি দু-দুবার লাভ করেছেন মিশরের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার, অন্যান্য আরও পুরস্কারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১৯৮৮ সালের নোবেল পুরস্কার।
‘আত্মজীবনীর প্রতিধ্বনি’ কিছু চূর্ণ গদ্যের সমষ্টি। মাহ্ফুজ-এর এই গ্রন্থে রয়েছে নানান প্রবচনাত্মক বাণী, ব্যাখ্যা ও সূত্র, রূপককাহিনি ইত্যাদি। গ্রন্থের একটি গদ্যরচনার শিরোনাম ধার করে বলা যায় এই রচনাগুলি যেন মাহ্ফুজ-এর জীবনের ‘পড়ন্ত বিকেলের কথোপকথন’।
ভূমিকা গ্রন্থপ্রসঙ্গ তরজমা : শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়
₹ 240.00 -
সোমশঙ্কর রায় লিখিত ও চিত্রিত
পাঁচুর একাদশী“এক দেশে এক চোর ছিল। দেশের নাম, যা হোক কিছু-একটা হবে। আর চোরের নাম?… ধরা যাক, তার নাম পাঁচু। সবাই তাকে ‘পাঁচুচোর’ বলে ডাকে। এতে ওর কিছু যায়-আসে না। লোকে জানে পাঁচু চুরি করে। কিন্তু হাতেনাতে কখনও ধরা পড়েনি। শুধু একটা বিষয় কিছুতেই মাথায় ঢোকে না— ওর কাজটাকে দেশের লোক কেন ভালো চোখে দেখে না। পাঁচু শুনেছে দেশের রাজাকেও ওরা কখনও-সখনও চোর বলে। মাঝে-মধ্যে রাস্তায় দল বেঁধে ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, দেশের রাজা চোর হ্যায়’ বলতে-বলতে যায়। আবার কিছুদিন পরে এরাই রাজাকে মাথায় করে সিংহাসনে বসিয়ে দিয়ে আসে। পাঁচুর হিসেব মেলে না। রাজার বেলায় এক রকম, আর তার বেলায় আর-এক রকম!”
এ বইয়ে হিসেবের প্যাঁচে বিভ্রান্ত পাঁচুর গল্প বলেছে সোমশঙ্কর, যে-পাঁচু কমবেশি আমাদের পরিচিত, বা আমরাই পাঁচু। গল্পের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আঁকা সোমশঙ্করেরই অসামান্য সব ছবিতে এ বই আরও খোলতাই হয়েছে।
₹ 150.00 -
মলয় রায়
পূর্বভারতের মধ্যযুগীয় রামায়ণ : সমাজ ও জীবনভারতবর্ষের প্রায় সমস্ত ভাষাতেই বাল্মীকি-রচিত রামায়ণ (কয়েকটি আঞ্চলিক প্রকারভেদ-সহ) অনূদিত তথা কিছু স্থানীয় বৈশিষ্ট্য-সহ সমৃদ্ধতর হয়ে প্রকাশিত হয়েছে। এই বইয়ে আলোচনার অন্তর্গত বিভিন্ন অঞ্চলের রামায়ণ-অনুবাদক কবিগণ সামাজিক কাঠামোর সঙ্গে সমন্বিত করে এর স্থানীয় রূপ নির্মাণে সচেষ্ট ছিলেন। এই অনুবাদগ্রন্থগুলি শুধু এই সব অঞ্চলের মূল্যবান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানসমূহই পরিবেশন করেনি, সেই সঙ্গে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক যোগসূত্র স্থাপনের ক্ষেত্রেও এই গ্রন্থগুলির মূল্যবান ভূমিকা রয়েছে।
এই বইয়ে লেখক পূর্বভারতের প্রধান চারটি ভাষাকে অবলম্বন করেছেন— অসমিয়া, বাংলা, ওড়িয়া এবং হিন্দি (অবধি)। প্রধান উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ছিল আঞ্চলিক ভাষায় লিখিত এই সব গ্রন্থে যে-সমস্ত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উপকরণ পরিকীর্ণ হয়ে আছে, সেগুলিকে নির্বাচন ও বিশ্লেষণ করা এবং সেগুলির মধ্যে যথাসম্ভব কার্যকারণ যোগসূত্র স্থাপন করা।
এই সব ভাষাবদ্ধ রামায়ণসমূহের প্রধানতম ও জনপ্রিয়তম কবিরা ছিলেন— ১. অসমিয়া : মাধব কন্দলী, ২. বাংলা : কৃত্তিবাস ওঝা, ৩. ওড়িয়া : বলরাম দাস এবং ৪. হিন্দি (অবধি) : তুলসীদাস। আলোচনার কালসীমা মোটের ওপর চোদ্দ শতক থেকে ষোলো শতকের মধ্যবর্তী সময়।
‘বাঙালির বেশবাস : বিবর্তনের রূপরেখা’ গ্রন্থের লেখক এই বইয়ে সে-আলোচনা কতটা সাফল্যের সঙ্গে করতে পেরেছেন, তা পাঠকের বিচার্য।
₹ 480.00