Sort By:
View:
  • সোমশঙ্কর রায় লিখিত ও চিত্রিত
    পাঁচুর একাদশী

    “এক দেশে এক চোর ছিল। দেশের নাম, যা হোক কিছু-একটা হবে। আর চোরের নাম?… ধরা যাক, তার নাম পাঁচু। সবাই তাকে ‘পাঁচুচোর’ বলে ডাকে। এতে ওর কিছু যায়-আসে না। লোকে জানে পাঁচু চুরি করে। কিন্তু হাতেনাতে কখনও ধরা পড়েনি। শুধু একটা বিষয় কিছুতেই মাথায় ঢোকে না— ওর কাজটাকে দেশের লোক কেন ভালো চোখে দেখে না। পাঁচু শুনেছে দেশের রাজাকেও ওরা কখনও-সখনও চোর বলে। মাঝে-মধ্যে রাস্তায় দল বেঁধে ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, দেশের রাজা চোর হ্যায়’ বলতে-বলতে যায়। আবার কিছুদিন পরে এরাই রাজাকে মাথায় করে সিংহাসনে বসিয়ে দিয়ে আসে। পাঁচুর হিসেব মেলে না। রাজার বেলায় এক রকম, আর তার বেলায় আর-এক রকম!”

    এ বইয়ে হিসেবের প্যাঁচে বিভ্রান্ত পাঁচুর গল্প বলেছে সোমশঙ্কর, যে-পাঁচু কমবেশি আমাদের পরিচিত, বা আমরাই পাঁচু। গল্পের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আঁকা সোমশঙ্করেরই অসামান্য সব ছবিতে এ বই আরও খোলতাই হয়েছে।

     150.00
  • sculpture by alakananda sengupta

    digital print on archival art paper
    (300 gsm, 30 cm X 45 cm)

    free shipping

     100.00
  • মলয় রায়
    পূর্বভারতের মধ্যযুগীয় রামায়ণ : সমাজ ও জীবন

    ভারতবর্ষের প্রায় সমস্ত ভাষাতেই বাল্মীকি-রচিত রামায়ণ (কয়েকটি আঞ্চলিক প্রকারভেদ-সহ) অনূদিত তথা কিছু স্থানীয় বৈশিষ্ট্য-সহ সমৃদ্ধতর হয়ে প্রকাশিত হয়েছে। এই বইয়ে আলোচনার অন্তর্গত বিভিন্ন অঞ্চলের রামায়ণ-অনুবাদক কবিগণ সামাজিক কাঠামোর সঙ্গে সমন্বিত করে এর স্থানীয় রূপ নির্মাণে সচেষ্ট ছিলেন। এই অনুবাদগ্রন্থগুলি শুধু এই সব অঞ্চলের মূল্যবান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানসমূহই পরিবেশন করেনি, সেই সঙ্গে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক যোগসূত্র স্থাপনের ক্ষেত্রেও এই গ্রন্থগুলির মূল্যবান ভূমিকা রয়েছে।

    এই বইয়ে লেখক পূর্বভারতের প্রধান চারটি ভাষাকে অবলম্বন করেছেন— অসমিয়া, বাংলা, ওড়িয়া এবং হিন্দি (অবধি)। প্রধান উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ছিল আঞ্চলিক ভাষায় লিখিত এই সব গ্রন্থে যে-সমস্ত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উপকরণ পরিকীর্ণ হয়ে আছে, সেগুলিকে নির্বাচন ও বিশ্লেষণ করা এবং সেগুলির মধ্যে যথাসম্ভব কার্যকারণ যোগসূত্র স্থাপন করা।

    এই সব ভাষাবদ্ধ রামায়ণসমূহের প্রধানতম ও জনপ্রিয়তম কবিরা ছিলেন— ১. অসমিয়া : মাধব কন্দলী, ২. বাংলা : কৃত্তিবাস ওঝা, ৩. ওড়িয়া : বলরাম দাস এবং ৪. হিন্দি (অবধি) : তুলসীদাস। আলোচনার কালসীমা মোটের ওপর চোদ্দ শতক থেকে ষোলো শতকের মধ্যবর্তী সময়।

    ‘বাঙালির বেশবাস : বিবর্তনের রূপরেখা’ গ্রন্থের লেখক এই বইয়ে সে-আলোচনা কতটা সাফল্যের সঙ্গে করতে পেরেছেন, তা পাঠকের বিচার্য।

     480.00
  • Recent work by
    Alakananda Sengupta

    Medium : Terracotta

    for further info contact via e-mail

  • Recent work by
    Alakananda Sengupta

    Medium : Terracotta

    for further info contact via e-mail

  • Recent work by
    Alakananda Sengupta

    Medium : Terracotta

    for further info contact via e-mail

  • Recent work by
    Alakananda Sengupta

    Medium : Terracotta

    for further info contact via e-mail

  • Recent work by
    Alakananda Sengupta

    Medium : Terracotta

    for further info contact via e-mail

  • ছবির রাজনীতি রাজনৈতিক ছবি
    দ্বিতীয় ভাগ

    সংকলন ও বিন্যাস : সন্দীপন ভট্টাচার্য

    এ বই যখন প্রথম বেরিয়েছিল তখন এ বিষয়ে আর-একটিও বাংলা বই ছিল না, এবং এখনও, খুব সম্ভবত নেই। মাঝে যদিও, তিন দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এটা এ বইয়ের পক্ষে সুখবর নয়, যদিও এই সময়ে ছবি ও রাজনীতি নিয়ে কথা কিছু কম হয়নি, কিন্তু এ দুয়ের পরস্পর-সম্পর্ক নিয়ে কথা বলার দায় এবং ঝুঁকি সংশ্লিষ্ট সকলেই সুবিধামাফিক এড়িয়ে গেছেন। তাই সেই পুরনো সংকলনই ফের নতুন করে, নতুন চেহারায় বের করতে হচ্ছে, এবং সেটা তিন ভাগে ভেঙে, আর তার কারণ বিশদে বইয়ের শুরুতে বলা আছে। সেখানে এ কথাও বলা আছে যে নতুন লেখাপত্র যোগে ভবিষ্যতে আরও দু-একটি ভাগও যে বেরোতে পারে না এমন নয়। আগের সংকলনের সঙ্গে নতুন এই সংকলনের প্রধান প্রভেদ মুদ্রিত ছবির সংখ্যায়, আগে যে-সব ছবি ছাপা যায়নি, এবার তার অনেকটাই যোগ করা গেছে। তাতে এই সংকলনে যে একটা পূর্ণতা এসেছে, এ কথা বলা যায়।

    এই ভাগের সূচি : রুশ বিপ্লবের প্রতিবেদন : দৈনন্দিনের নথিচিত্র। তিন রুশ শিল্পীর যৌথ সত্তা কুক্রিনিক্সি-র লেখা আমাদের যৌথদৃষ্টি : শিল্পজীবন। ভ্লাদিমির মায়াকোভস্কি-র লেখা ROSTA-কর্মীদের প্রথম নিখিল রুশ কংগ্রেসে শিল্পপ্রচার সম্পর্কে প্রতিবেদন। শুনুন, মায়াকোভস্কি বলছেন নিজের জীবনের কথা।  মায়াকোভস্কি, ভাসিলি কামেনস্কি ও ডেভিড বারলিউক-এর ইস্তাহার শিল্পের গণতন্ত্রীকরণ সম্পর্কিত ফতোয়া। মায়াকোভস্কি-কে নিয়ে য়ুরি গেরচিউক : রেমব্রান্টের পুনর্বাসন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক শিল্প-সক্রিয়তা নিয়ে ডেভিড শাপিরো-র লিখেছেন সমাজবাস্তব শিল্পের ধারাপ্রকৃতি : পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব, সঙ্গে জন রিড ক্লাবের খসড়া ইস্তাহার ও আমেরিকান আর্টিস্টস’ কংগ্রেসের ঘোষণা। মেক্সিকোয় ম্যুরাল আন্দোলন নিয়ে দাভিদ আলফ্যেরো সিক্যেরাস-এর চারটি লেখা : এক নতুন ও অখণ্ড শিল্পধর্মের সন্ধানে, মেক্সিকোর সমকালীন শিল্প-অভিজ্ঞতার আলোয় লাতিন আমেরিকার বিপ্লব ও তার দৃশ্যকল্প, ছবি ও ভাস্কর্যের বৈপ্লবিক রূপান্তর দিশা, আধুনিক মেক্সিকান ছবিপত্রের ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া। ডেভিড ক্যুনজলে লিখেছেন চিলির নতুন ছবি : বৈপ্লবিক প্রক্রিয়ার দেওয়ালছবি ও দেওয়ালনামা। লু স্যুন-এর লেখা চিনদেশের ছবিকথা। চিনের কাঠখোদাই : আন্দোলনের আরও কথা। এড্রিয়ান হেনরি-র লেখা শিল্পিত ঘটনার রাজনীতি পরিবেশ, সঙ্গে চারটি সংযোজন : আমাদের স্বপ্নের মিউকাস মেমব্রেন, গুস্তাভ মেৎসগার-এর স্বয়ংবিনাশী শিল্পের তিনটি ইস্তাহার, ফ্রান্স : মে-দিনের ছাত্রবিপ্লব, সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ডাক : বড় হরফের দেওয়ালনামা।

    প্রথম ভাগটি আগেই প্রকাশিত, এই ভাগটি বেরোল যথাসম্ভব দ্রুত, তৃতীয় এবং শেষ ভাগটিও একই ভাবে অধিক ছবি-যোগে দ্রুতই বেরোবে বলে আশা করা যায়।

     560.00
  • ছবির রাজনীতি রাজনৈতিক ছবি
    প্রথম ভাগ

    সংকলন ও বিন্যাস : সন্দীপন ভট্টাচার্য

    এ বই যখন প্রথম বেরিয়েছিল তখন এ বিষয়ে আর-একটিও বাংলা বই ছিল না, এবং এখনও, খুব সম্ভবত নেই। মাঝে যদিও, তিন দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এটা এ বইয়ের পক্ষে সুখবর নয়, যদিও এই সময়ে ছবি ও রাজনীতি নিয়ে কথা কিছু কম হয়নি, কিন্তু এ দুয়ের পরস্পর-সম্পর্ক নিয়ে কথা বলার দায় এবং ঝুঁকি সংশ্লিষ্ট সকলেই সুবিধামাফিক এড়িয়ে গেছেন। তাই সেই পুরনো সংকলনই ফের নতুন করে, নতুন চেহারায় বের করতে হচ্ছে, এবং সেটা তিন ভাগে ভেঙে, আর তার কারণ বিশদে বইয়ের শুরুতে বলা আছে। সেখানে এ কথাও বলা আছে যে নতুন লেখাপত্র যোগে ভবিষ্যতে আরও দু-একটি ভাগও যে বেরোতে পারে না এমন নয়। আগের সংকলনের সঙ্গে নতুন এই সংকলনের প্রধান প্রভেদ মুদ্রিত ছবির সংখ্যায়, আগে যে-সব ছবি ছাপা যায়নি, এবার তার অনেকটাই যোগ করা গেছে। তাতে এই সংকলনে যে একটা পূর্ণতা এসেছে, এ কথা বলা যায়।

    এই ভাগে যা আছে : অনোরে দোমিয়ে-কে নিয়ে শার্ল বোদল্যের-এর লেখা, দোমিয়ে-র চিঠি, দোমিয়ে-র সময়কাল নিয়ে প্রতিবেদন। পারি কম্যুন : গুস্তাব কুরবে-র দুটি চিঠি। ক্যোথে কোলভিৎস-কে নিয়ে ভেরনের টিম-এর লেখা, কোলভিৎস-এর ডায়েরি, ক্যোথের সময়যাত্রা। গেয়ৰ্গ বুশমান-এর লেখা বিশের দশকে জার্মানি : সক্রিয় রাজনীতি ছবির কর্মপ্রত্যয়। গেয়ৰ্গ গ্রোস-এর আত্মকথা পদাতিকের জবানবন্দি, গ্রোস-এর ছবি নিয়ে প্রেমের ছবি ঘৃণার শৈলী। পিটার সেলজ-এর লেখা জন হার্টফিল্ড : ফ্যাসিবিরোধী আলোর কারিগর, জন হার্টফিল্ড ও ‘সচিত্র মজদুর বার্তা’, ওয়ান ম্যান’স ওয়র এগেনস্ট হিটলার। পল হোগার্থ-এর লেখা চিত্রসাংবাদিকতার অন্য ইতিহাস : দৈনন্দিনের চিত্রনথি।

    দ্বিতীয় ভাগটি ইতিমধ্যেই প্রকাশিত, তৃতীয় এবং শেষ ভাগটিও একই ভাবে অধিক ছবি-যোগে দ্রুত বেরোবে বলে আশা করা যায়।

     480.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত
    অ ন্য  ন ন্দ লা ল
    নন্দলাল বসুর কার্টুন-ছবি

    এ এক অন্য নন্দলাল। রসিক, মজাদার, ব্যঙ্গপ্রবণ। শান্তিনিকেতনে কলাভবনের প্রধান হিসেবে বা শিল্পাচার্য হিসেবে যে-নন্দলালের ছবি আমাদের মনে ভাসে, তার সঙ্গে যেন এর মিল নেই, বা মিল আছে কোন এক নান্দনিক রসবোধে। এই নন্দলালের কথা এত দিন ঠিক এ ভাবে জানা ছিল না আমাদের, এই বইয়ে প্রকাশিত তাঁর একগুচ্ছ ছবিতে যার দর্শন মিলবে। একদিক থেকে তৎকালীন শান্তিনিকেতনের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবেও এই ছবিগুলি পাঠ করা যেতে পারে, পাঠ করা
    যেতে পারে শিল্পিত ইতিকথা হিসেবেও।

    শুভেন্দু দাশগুপ্ত প্রায় দু-দশক ধরে চিত্রশিল্পের এক নতুন ইতিহাস রচনা করে চলেছেন। মূল ধারার ইতিহাসে উপেক্ষিত কার্টুন, পোস্টার, দেওয়াললিখন নিয়ে তাঁর ধারাবাহিক কাজ এর মধ্যেই আমাদের নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। এই বই সেই ধারাবাহিকতায় নতুনতর সংযোজন হিসেবে গণ্য হবে।

     380.00
  • বাংলা কার্টুন
    দুই বাংলার লেখা কথা চিত্র

    সম্পাদনা : শুভেন্দু দাশগুপ্ত

    কার্টুন নিয়ে কাজ করতে-করতে পেয়ে যাওয়া প্রায় ১৫০ বছর ধরে ছাপা বাংলা কার্টুন, বাংলা কার্টুন নিয়ে লেখা। এই বইটিতে রইল সেই সব পেয়ে-যাওয়া লেখার, বাংলায় কার্টুন নিয়ে লেখার নির্বাচিত অংশ। বোঝা যায়, কত কাল ধরে কত জন বাংলা কার্টুন নিয়ে কাজ করেছেন, ভেবেছেন, লিখেছেন। অন্য দিকটাও খেয়াল করার মতন, কত পত্রপত্রিকায় কার্টুন নিয়ে লেখা বেরিয়েছে, কত জন কার্টুনের নানা দিকের কথা আলোচনা করেছেন।

    এই সব লেখার বিশেষ অবদান কী? ইতিহাস। ভাবনার ইতিহাস, বিষয়ের ইতিহাস, কার্টুন আঁকার ইতিহাস, কার্টুনশিল্পীর ইতিহাস, কার্টুন নিয়ে লেখার ইতিহাস। এই বইটা দু-তিনটে দিক দিয়ে খুব কাজেরও হল। এক, সবার পক্ষে সম্ভব না সব জায়গায় গিয়ে-গিয়ে এই লেখাগুলো পড়া। একজায়গায় পাওয়া হল। দুই, সবার জানাও নেই বাংলা কার্টুন নিয়ে এত জনের এত লেখা রয়েছে। জানা হল। আদতে লাভ হল বাংলা কার্টুনের।

    যাঁদের লেখা আছে : বিনয়েন্দ্রনাথ মজুমদার, বনফুল, অখিল নিয়োগী, চণ্ডী লাহিড়ী, কাফী খাঁ, পি কে এস কুট্টি, রেবতীভূষণ ঘোষ, সুফি, দেবব্রত মুখোপাধ্যায়, অহিভূষণ মালিক, শিশির ভট্টাচার্য, উন্মাদ পত্রিকাগোষ্ঠী, কৃষ্ণ ধর, প্রতীক চক্রবর্তী, কল্পতরু সেনগুপ্ত, কুমারেশ ঘোষ, চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বদেব গঙ্গোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু দাশগুপ্ত।

     580.00
  • অঁরি মাতিস
    এক চিত্রকরের জীবনভাবনা

    লেখা কথা রেখা

    আধুনিক পশ্চিমি চিত্রজগতে আচার্যস্থানীয় অঁরি মাতিস এক চিত্রকরের জীবন ও ভাবনার স্বচ্ছ ও সৎ, নির্ভরযোগ্য ও ধারাবাহিক এক বিবরণ রেখে গেছেন তাঁর লেখায় ও কথায়। সেখানে পশ্চিমি শিল্পী ও শিল্পধারার নির্ভেজাল বিশ্লেষণ আছে, সে-সব গ্রহণ-বর্জনের যুক্তি আছে, আছে নিজেরও যাত্রাপথের খুঁটিনাটি। নিজের সৃষ্টির প্রক্রিয়া কী, কী ভাবে তিনি দেখেন, কী ভাবেন, নিজেকে প্রস্তুত করেন কী ভাবে, অবশেষে কাজ করার সময়ে তাঁর বিশেষ লক্ষ্য থাকে কোন্ দিকে— সে-সবই তিনি অবিরল ধারে বলে গেছেন। প্রতিটি ছবির কথা তিনি মনে করতে পারেন, কী তার উৎস, কোন্‌ ধারার সঙ্গে যোগ, রূপের বৈশিষ্ট্য, কী ছিল সেখানে তাঁর অন্বিষ্ট— কোন কাজেরই কোন অনুপুঙ্খ তিনি ভোলেন না। মেজাজে তিনি শান্ত, স্থিতধী, নিজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন ও মনস্ক। একই সঙ্গে ছবি আঁকার জন্য তিনি ছবি-আঁকা বাদে আর সমস্ত কিছুকে সরিয়ে রেখে জীবনকে সরল করে আনার কথা বলেন, প্রায় সন্তের মতো প্রয়োজনকে নামিয়ে আনতে বলেন ন্যূনতমে, আসলে বোধ হয় নিরঙ্কুশ এক জীবনসাধনার দিকেই তিনি ইঙ্গিত করেন।

    এই জীবনসাধনা নিয়ে এক মহৎ চিত্রকরের ভাবনার কথা তাঁরই লেখা আর কথায় এই বইয়ে থাকল, আর থাকল তাঁর কিছু রেখা।

    সংকলন ভাষান্তর সম্পাদনা : সন্দীপন ভট্টাচার্য

     360.00
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
    আছে আমার ছবি : নির্বাচিত পত্রাংশে চিত্রকরের আত্মকথা

    “এই টলমলে অবস্থায় এখনো দুটো পাকা ঠিকানা পেয়েছি আমার বানপ্রস্থের— গান আর ছবি। এদের উপরে বাজারের বস্তাবন্দীর ছাপ পড়েনি।… কলার সকল বিভাগে আমি ব্রাত্য…। আছে… আমার ছবি। কোথা থেকে দেখা দিতে এসেছে এই শেষ বেলায়, যখন রোদ্দুর পড়ে এল। আমার এই রেখানাট্যের নটী আর কারো চোখে ধরা দেয় কিনা তার সঠিক খবর পাইনে।… প্রশংসা আমার মনকে আঁকড়ে ধরেনি… আমার ছবির প্রশংসা টেকসই কিনা সে তর্ক বাজারে ওঠেনি, আমার মনেও না। আমার চৈতন্য-অন্তঃপুরে রেখারূপের জাদু নর্তকীরা একদিন পর্দানশীন ছিল, আজ পর্দা সরিয়ে বেরিয়ে এসেছে। আমার কাছে এই অদ্ভুত প্রকাশলীলার আনন্দই যথেষ্ট।… আমার ছবির খ্যাতির সম্বন্ধেও সেই কথা।… তার… অখ্যাতির গৌরবে সে আছে ভালো…।”

    প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে ছবি নিয়ে তাঁর এমনই সব অনুভব, ভাবনা, উপলব্ধি, উদ্বেগ, হতাশা আর উৎফুল্লতার কথা তিনি লিখেছেন অন্তরঙ্গজনকে লেখা তাঁর অজস্র চিঠিতে। তার থেকে নির্বাচন করে এই সংকলন– চিত্রকর রবীন্দ্রনাথের আত্মকথা।

    সংকলন ও বিন্যাস : সন্দীপন ভট্টাচার্য।

     240.00
  • বব মার্লে
    রক রেগ্যে রাস্তা আর শিকড়ের গান

    বব মার্লে গান গাইতেন। বুক নিংড়ে গাইতেন। জামাইকায় থাকতেন তিনি, ফিরতে চাইতেন নিজভূমি আফ্রিকায়– তাঁর গোষ্ঠীর অন্যান্যদের মতো। এঁরা রাস্তাফারিয়ান। রাস্তা-র দর্শন গুরুবাদী, ইথিওপিয়ার রাজা প্রথম হাইলি সুলাসি-কে এঁরা মনে করেন পুনরুত্থিত খ্রিস্ট, আর সেই নিয়ে খ্রিস্টানদের সঙ্গে এঁদের ঝগড়া। বস্তুত এ এক প্রান্তিক দর্শন, জীবনের বহু কিছু এখানে আশ্চর্য সরলতায় জড়িয়ে আছে। গান আর দর্শন এখানে একাকার, এর কোন কিছুকেই পরস্পরের থেকে ঠিক আলাদা করা যায় না।

    এই বইয়ে রয়েছে বিভিন্ন সময়ে নেওয়া রাস্তা গোষ্ঠীর সাঙ্গীতিক কণ্ঠস্বর বব মার্লে-র সাতটি সাক্ষাৎকারের সম্পাদিত বয়ান, আর তাঁর সুখ্যাত কয়েকটি গানের কথা– যেখানে পাওয়া যাবে তাঁর মর্মজীবনের কথা। আর তাঁর কর্মজীবনের কথা আছে সংশিষ্ট পঞ্জিতে।

    মার্লে-র গান যাঁরা শুনেছেন, আশা করা যায় এই বইতে তাঁরা তাঁর কণ্ঠস্বর শুনতে পাবেন।

     220.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত
    রাজনৈতিক আলোকচিত্র
    গোবিন্দ বিদ্যার্থী  সুনীল জানা

    এই বইটা দু-জন আলোক-চিত্রকর গোবিন্দ বিদ্যার্থী ও সুনীল জানার আলোকচিত্র নিয়ে।

    আলোকচিত্র নিজেই কথা বলে। যা দেখায়, তার থেকে একটু বেশি বলে। আলোকচিত্রের দর্শক, পাঠক আলোকচিত্রের মধ্যে দিয়ে আলোকচিত্রের বিষয়ে, বিষয়ের ব্যাখ্যায়, রাজনীতিতে, সমাজনীতিতে, ইতিহাসে অংশগ্রহণ করে।

    আলোকচিত্র এক অর্থে ইতিহাস। আলোকচিত্রে সমকালের ইতিহাস। আলোকচিত্রীর দেখা ও দেখানো ইতিহাস। ইতিহাস আলোকচিত্রের মধ্যে দিয়ে হয়ে ওঠে স্মৃতি, সময়কাল, সাক্ষ্য।

    মেনে নিতেই হবে আলোকচিত্রের পক্ষ আছে। পক্ষপাত আছে। এই বইটার ছবিও পক্ষপাতিত্বের ছবি। একটা শ্রেণির প্রতি পক্ষপাতিত্বের ছবি। আলোকচিত্র নিছক নথি নয়, একটা অস্তিত্ব, একটা মূল্যায়ন এবং তা শ্রেণিপক্ষপাত-নির্ভর।

    ইতিহাস পড়া ও ইতিহাস দেখার মধ্যে পার্থক্য— দেখানো-ইতিহাসকে ‘বেশি’ বাস্তব মনে হয়। ইতিহাসকে পালটে দেওয়া, মুছে দেবার কালে আলোকচিত্রের ভূমিকা আরও বেড়ে যায়। রাজনীতিক ইতিহাসের এক জরুরি তথ্যসূত্র রাজনীতিক আলোকচিত্র।

    এই সংগ্রহটি একটি পরিবারের মাধ্যমে পাওয়া। গোবিন্দ বিদ্যার্থী ও সুনীল জানা কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম দিকের সদস্য। পার্টিতে তাঁদের নিয়ে আসেন পার্টির প্রথম সাধারণ সম্পাদক পি সি যোশি। সুনীল জানা পার্টিতে আসার আগেই আলোকচিত্রী। সুনীলের অনুপ্রেরণায় গোবিন্দর আলোকচিত্রে আগ্রহ। এঁরা দু-জনেই ছিলেন পার্টি কমিউনের বাসিন্দা। এঁদের দু-জনের সেই সময়কার কিছু আলোকচিত্র নিয়ে এই বই।

     1,150.00
Shop
Filters
0 Wishlist
0 Cart