Brands

Sort By:
View:
  • পাবলো পিকাসো
    আমি : আমার ছবি

    আধুনিক শিল্পের ইতিবৃত্তে পিকাসো-কে এড়িয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই। অবিশ্বাস্য কর্মপ্রেরণায় গোটা বিশ শতকের শিল্প-ইতিহাস মনে হয় তিনি একাই ধারণ করে আছেন তাঁর বৃষস্কন্ধে। এমনই প্রবল তাঁর ক্ষমতা, এমনই সর্বব্যাপী তাঁর প্রভাব যে তাঁকে উহ্য রেখে এ ইতিবৃত্ত সম্পূর্ণ হতেই পারে না।

    সারা জীবন তিনি ছবি-ই এঁকেছেন, আর এঁকেছেনও অজস্র। এমন কোন মাধ্যম নেই, যা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বাকি রেখেছেন তিনি। ছবি আঁকা বা কাজ করা-ই যে তাঁর বিশ্রাম, নিজেই বলেছেন সে-কথা। বার-বার নিজেকে পালটে নতুন করে গড়েছেন, বিষয় খুব না-পালটালেও ছবির রূপে অবিরাম ভাঙচুর করেছেন। তাঁর ছবির দর্শক যখন তার
    কোন এক রূপে ক্রমশ অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছে, অনায়াসে অন্য কোন রূপের সন্ধানে যাত্রা করেছেন তিনি। পাশাপাশি নাটক ও কবিতা লিখেছেন, কিন্তু মজার ব্যাপার, শিল্পতত্ত্ব বা নিজের ছবি নিয়ে সে-ভাবে একটি বাক্যও কখনও লেখেননি। তার বদলে, তাঁর অনুরাগী ও অন্যান্য উৎসাহীদের কাছে মুখে-মুখে এ নিয়ে বলেছেন অজস্র কথা, সারা জীবনই বলেছেন। আর সে-সবই যত্ন করে রক্ষিত হয়েছে, লিপিবদ্ধ হয়েছে, তাঁর সমগ্র জীবৎকাল জুড়ে বিভিন্ন সাময়িকপত্রে তা প্রকাশিত হয়েছে, এমনকী পূর্ণাঙ্গ বইয়ের রূপ পেয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বয়ং পিকাসো তাতে অনুমোদনের শিলমোহর দিয়েছেন। লেখা বাহুল্য যে, তাঁর ছবির মতোই তাঁর এ সমস্ত কথাও অমূল্য, অন্তত তাঁকে বোঝার জন্য তাঁর নিজের মুখের কথার চেয়ে মূল্যবান আর কী-ই বা হতে পারে!

    পিকাসো-কে জানার জন্য অপরিহার্য সেই সব কথা নিয়েই এই বই। সঙ্গে আছে অনেক শাদা-কালো ছবি।

     300.00
  • অসীম রেজ
    অমৃতা শের-গিল : শিল্পজীবন

    একদিকে ভারতীয় চিত্রকলায় ঐতিহ্যময় শিল্পরূপের পুনরুজ্জীবন এবং লোক-শিল্পের সহজ-সরল, স্বতঃস্ফূর্ত রূপের অনুসন্ধান; অন্যদিকে কেতাবি ইয়োরোপীয়  শিল্পশিক্ষণে চিত্রকলায় বাস্তবতার হুবহু অনুকরণে যে-পরস্পরবিরোধী মতাদর্শের প্রকাশ ঘটেছিল, তা বর্জন করে যিনি মৌলিক ও স্বতন্ত্র এক আধুনিক শিল্পভাষার জন্ম দিয়েছিলেন তিনি হলেন অমৃতা শের-গিল (১৯১৩-১৯৪১)। শিল্পকলার কোন ‘ঘরানা’ বা ‘মতবাদ’ দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে তাঁর স্বল্পকালীন জীবদ্দশায় তিনি সৃষ্টি করেন এমন এক শিল্পভাষা, যেখানে ফুটে ওঠে ভারতীয় গ্রাম এবং নারীজীবনের মর্মস্পর্শী ছবি। জন্মসূত্রে পেয়েছিলেন একদিকে ইয়োরোপীয় এবং অন্যদিকে ভারতীয় ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার। ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতা আর আধুনিকতার সঙ্গে মানবিকতার এক আশ্চর্য মেলবন্ধন ঘটান তিনি। অমৃতার জীবনকাহিনি ও শিল্পচর্চা প্রায় কিংবদন্তির মতো।

    এই বইয়ে অমৃতা-র শিল্প ও জীবনের কথা আছে সমগ্রত, সঙ্গে আছে তাঁর অনেক ছবির রঙিন ও শাদা-কালো প্রতিলিপি।

     

     220.00
  • অসীম রেজ
    চিত্রকর ফ্রিদা কাহলো : এক অনন্য নারী

    আধুনিক চিত্রকলায় নারীসত্তার উন্মোচনে যে-কয়েকজন শিল্পীর ভূমিকা স্মরণীয়, তাঁদের মধ্যে মেক্সিকোর চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো অন্যতম। ভারতীয় শিল্পীদের ভিতর একমাত্র অমৃতা শের-গিলের সঙ্গে তাঁর তুলনা চলে। ফ্রিদা-র ব্যক্তিসত্তার উন্মেষ ঘটেছিল এক গভীর রাজনৈতিক বিশ্বাসের ভিত্তিভূমিতে। তিনি প্রত্যক্ষ ভাবে মেক্সিকোর বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং সশস্ত্র বিপ্লবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এক গণতান্ত্রিক, উদার ও সুস্থ সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্যে নিপীড়িত ও শোষিত জনগণের পক্ষে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছিলেন। স্বদেশ-ভাবনা এবং স্বাজাত্যাভিমান ছিল তাঁর জীবন-আদর্শের মূল কথা। তাঁর শিল্পভাবনার কেন্দ্রে ছিল স্বাধীন ব্যক্তিসত্তার প্রকাশ। তিনি সমাজ ও ঐতিহ্যের প্রতি দায়বদ্ধতা যেমন স্বীকার করেছিলেন, তেমনই নারীসত্তার উন্মোচনে পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জনে ব্যক্তিগত জীবন বাজি রেখেছিলেন। তাঁর শিল্পকলায় জীবন-সংগ্রাম ও কঠোর বাস্তবতা, ফ্যান্টাসি ও কল্পনা এবং আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের এক আশ্চর্য মেলবন্ধন ঘটেছিল। একদিকে ইউরোপীয় আধুনিকতা, অন্য দিকে মেক্সিকোর সনাতন জনপ্রিয় লোকশিল্পের ধারা তাঁর শিল্পকর্মের প্রাণবিন্দু।

    ফ্রিদা-র জীবন ও শিল্পকর্মের সামগ্রিক পরিচয় নিয়ে এ বাংলার প্রথম বই। সঙ্গে আছে তাঁর অনেক ছবির রঙিন ও শাদা-কালো প্রতিলিপি।

     220.00
  • শক্তিনাথ ঝা
    লোকধর্মের বাহান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি

    ভদ্রলোকের ধারণায় শিষ্ট জীবন হল দেয়ালবন্দি, আচারপ্রধান। আর লোকজীবন হল অনাচার-যথেচ্ছাচারে মুক্ত, স্বাধীন, এক কথায় সহজিয়া। লোকধর্ম অর্থমূল্যে বিকোয় না। কঠোর অনুশীলনে অর্জন করতে হয় ধর্মবোধ। এ বোধ ব্যতিরেকে আত্ম-অনুভবের মহাসুখের স্বাদ মেলে না। সেখানকার পাশপোর্ট সাধনার, শ্রমের মূল্যে কিনতে হয়।

    লোকধর্মের সাহিত্যে যৌনতা শব্দটির ব্যবহার প্রায় নেই। দেহে ক্ষুধা, নিদ্রা, বাসনা, মৈথুনের আবেগাদি আছে। আছে দশেন্দ্রিয় ষড়্‌রিপুর স্বভাব-ধর্মগুলি। এগুলি ভালো বা মন্দ, পাপ বা পুণ্য, কোনটিই নয়। এগুলি সহজাত দেহধর্ম। বৈষ্ণব বাউল-ফকিরেরা কামকে নিষ্কাম প্রেমে পরিণত করতে চায়। এটি তাদের সাধ্য ও সাধনা। তাদের খাদ্য, অশন-বসন, দর্শন একটু আলাদা।

    অনিত্য ভুবনে, অনাত্ম দেহে নানা দুঃখ আছে। দেহের ক্ষয়-জরা-রোগকে প্রতিষেধ করতে হয়, মনে শোকতাপকে ছিন্ন করতে হয়, অহং-এর তৃষ্ণাকে শমিত করতে হয়। বাহ্য জগতের ঘটনাবলিকে অনিবার্য বলে মানলে এ ভুবন বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। তখন মানবিক সম্বন্ধের মন্থিত অমৃতকে খুঁজতে হয়।  লোকধর্মে কঠোর অনুশীলনে দেহ-মন বদলে আত্মদীপ হতে হয়। এর শতেক পন্থা, অযুত প্রকরণ-পদ্ধতি সাধু-সন্তদের মধ্যে ছড়িয়ে আছে। সেগুলি বুকে (সিনায়) থাকে, মুখে শোনা যায়। আর কিছু দেখে অনুকরণ করতে হয়।

    আরশি-নগরের পাশে এক ঘর, সে ঘরের পড়শিরা কৃপা করে ডেকে নিয়েছিলেন। যারা স্মরণে মরেন না, তাদের কথার কথকতার সূত্রেই এ রচনা। লোকধর্মের জীবনপ্রবাহ থেকে নির্মাণ-বিনির্মাণ-পুননির্মাণ করে-করে একরকম ইতিহাস রচনার অদক্ষ প্রয়াসও কেউ-কেউ খুঁজে পেতে পারেন এ রচনায়। লৌকিক সাধকেরা ‘অপর নন’। তাঁরা আর-পাঁচজন মানুষেরই মতো। প্রবহমান কাল এবং ঘটনা অনিবার্য ভাবেই তাঁদের উপরে ছায়া ফেলে। প্রতিটি মানুষের মতো এ সাধকেরা প্রত্যেকে বিশিষ্ট, অনন্য। অলৌকিক সাধু নয়, লৌকিক অসাধারণ মানুষেরা এ রচনায় স্থান নিয়েছেন। এগুলি অলৌকিক রহস্যগাথা নয়, রহস্যে বাঁধা জীবনের কথা।

     400.00
  • বব ডিলান
    গিটার আর একটা অন্ধকার রাস্তা  

    “একজন সঙ্গীতজ্ঞকে, যেখানে ঠিক সে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার গভীরে প্রবেশ করতে হয়, অবশ্য তা নির্ভর করছে কত দূর সে যেতে পারবে, তার ওপর। সেই গভীরতায় পৌঁছনোর জন্য সে সব কিছু করতে প্রস্তুত থাকে। তার কারণ সঙ্গীত এক তাৎক্ষণিক ব্যাপার, ক্যানভাসে রং চড়ানোর মতো সেটা ঠিক ভেবেচিন্তে করা যায় না। তুমি যখন গাইছ বা বাজাচ্ছ, তখন তোমার আত্মা উড়ে চলে। ফলে সঠিক সুরটা খুঁজে পাওয়ার জন্য তোমাকে তোমার নিজেরই গভীর অন্তঃস্থলে চোখ মেলে তাকাতে হয়।”

    গত শতকের ছয়ের দশকে বব ডিলান-এর আবির্ভাব, তার পর থেকে গত কয়েক দশকে তাঁর গান কখনও শোনেননি, এমন লোক বোধ হয় গোটা বিশ্বেই দুর্লভ।

    এই বইয়ে তাঁর ছ-টি সাক্ষাৎকারের বয়ান, তাঁর কবিতা, তাঁর নোবেল বক্তৃতার সূত্রে মিলবে ডিলানের এক সার্বিক পরিচয়।

    পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত বইপত্তর সংস্করণ, ১১৬ পৃষ্ঠা

     220.00
  • সুহৃদকুমার ভৌমিক
    আর্য রহস্য 

    আর্য মানে যে কৃষক, স্থায়ী গৃহস্থ, সে-সম্বন্ধে সন্দেহ নেই। আর ঋগ্বেদের বিরাট অংশ হল চাষবাস বিষয়ক মন্ত্র। তাই য়ুরোপীয় কোন-কোন পণ্ডিত ঠাট্টা করে বলতেন, ঋগ্বেদ হল চাষার গান। এই উক্তিতে আমাদের অনেক পণ্ডিতের মনে কষ্টও হয়েছে। “বেদের বহু স্তোত্রে চাষের কথা আছে। ভূমি সুজলা সুফলা হয়, তাহার জন্য দেবতাদের নিকট অনেক প্রার্থনাও আছে। সুতরাং তাহাদের সিদ্ধান্ত হইল, বৈদিক স্তোত্রকারগণের যে সমাজ তাহা সভ্যতার আদিম বা চাষের স্তরে মাত্র উঠিয়াছিল। তাঁহারা মন্তব্য করিলেন, বৈদিক মন্ত্র সব চাষার গান।” কথাটা কিন্তু অমূলক নয়। কারণ শব্দবিচার করে আমরা জানতে পারব— আর্য শব্দের মৌলিক অর্থই হল কৃষক।

    আজকের দিনে অধিকাংশ ভাষাবিজ্ঞানী পণ্ডিতই বলছেন, তামাম পৃথিবীতে যে-সমস্ত সংস্কৃত শব্দের অপব্যাখ্যা হয়েছে, তার মধ্যে ‘আর্য’ শব্দটি বোধ হয় সবচেয়ে অভাগা। এর পেছনে কাজ করেছে পাশ্চাত্যের গূঢ় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং সাম্রাজ্যবাদী বাসনা। সংস্কৃতিতত্ত্ব আর ভাষাতত্ত্বের সূত্রে আর্য জাতি সম্পর্কে প্রকৃত সত্যের উদ্‌ঘাটনই এই বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য। সব অর্থেই এ বই বিস্ফোরক বই, প্রচলিত ধ্যানধারণা নাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।

    প্রথম বইপত্তর সংস্করণ, ৬৮ পৃষ্ঠা

     160.00
  • নোয়াম চমস্কি 
    গণমাধ্যমের চরিত্র  

    “জনসংযোগ এক বৃহৎ শিল্প। এ বাবদে এখন বছরে বিলিয়ন ডলারের হিসেবে খরচ হয়। জনতার মনকে নিয়ন্ত্রণ করাটাই তার বরাবরের দায়। জনসংযোগকে ইন্ডাস্ট্রির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে পথিকৃৎ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।জনসংযোগের শিল্পক্ষেত্রে যারা আছেন, তারা কেউ সেখানে মজা মারার জন্য বসে নেই। তারা রীতিমতো কাজ করছেন সেখানে। তারা লোকের মনে সঠিক মূল্যবোধ চারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বস্তুত, প্রকৃত গণতন্ত্র সম্পর্কে তাদের একটা ধারণা আছে : এ ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত যেখানে বিশেষজ্ঞদের প্রভুর স্বার্থে কাজ করার শিক্ষা দেওয়া হয়। প্রভু মানে এই সমাজটা যাদের। জনগণের বাদবাকি অংশকে সংগঠিত হওয়া থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে, কারণ সংগঠন মাত্রেই ঝামেলা পাকায়। টিভির সামনে এদের একা বসিয়ে রাখতে হবে, আর মাথায় এ কথা ঢুকিয়ে দিতে হবে যে জীবনের একমাত্র অর্থ হল চারপাশে আরওআরও পণ্য জোটাও বা ঐ ধনী মধ্যবিত্ত পরিবারের মতো জীবন কাটাও, যা তুমি টিভির পর্দায় দেখছ।” লিখেছেন নোয়াম চমস্কি।

    রাষ্ট্রশাসনের অন্যতম হাতিয়ার এই  গণমাধ্যম। সমকালীন রাজনীতিতে তার ভূমিকা, মিথ্যে প্রচার আর তথ্যগোপনের কূটকৌশলে ব্যাপ্ত সে এক ষড়যন্ত্রের ইতিবৃত্ত। এ নিয়ে লেখার যোগ্যতম যিনি, তাঁর কলমে ক্ষুরধার এই বই।

     180.00
  • স্বর্ণেন্দু সেনগুপ্ত সম্পাদিত
    গুয়ান্তানামো : স্মৃতিকথা সাক্ষাৎকার কবিতা ছবি

    যে-কারাগারে বসে লেখা এই বইয়ে সংকলিত কবিতাগুলি, আঁকা এ বইয়ে ছাপা ছবিগুলি, যে-জেলখানাকে নিয়ে এই লেখা এই বইয়ের অন্তর্গত স্মৃতিকথা ও ডায়েরির সমূহ বয়ান, যাকে কেন্দ্র করে নেওয়া এ বইয়ের দুটি সাক্ষাৎকার— তার নাম গুয়ান্তানামো। কুখ্যাত এই সামরিক কারাগার কিউবা বা কুবা-র একটি দ্বীপ জোর করে দখলে রেখে বানিয়েছে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র আমেরিকা।
    যাঁরা খবরের কাগজ পড়েন, তাঁরা হয়তো পড়েছেন, শুনেছেন এই কারাগারের কথা। গুয়ান্তানামো কারাগারের কথা খবরের কাগজে শিরোনামে আসে তার ভয়ংকর, অত্যাচারী ব্যবস্থার কারণে। এই বই নির্দোষ নিরীহদের বিরুদ্ধে সেই অত্যাচার ও সন্ত্রাসের কথা নানা ভাবে বলে কবিতায়, গদ্যে, ছবিতে।

    ২য় মুদ্রণ, ১২০ পৃষ্ঠা

     200.00
  • জাঁ-পল সার্ত্র
    লেখকের অস্তি নাস্তি অবস্থিতি

    জাঁ-পল সার্ত্র-এর (১৯০৫-১৯৮০) ষাট এবং সত্তর বছরে নেওয়া দুটি সাক্ষাৎকার নিয়ে এই বই।

    প্রথম সাক্ষাৎকারটি যখন দিচ্ছেন, তার কিছু পরেই সাহিত্যে নোবেল নিতে অস্বীকার করছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি শেষ হচ্ছে এই প্রত্যাখ্যান নিয়ে তাঁর ক্ষুরধার বক্তব্য দিয়ে, ‘কোন আকাদেমি বা কোন পুরস্কারের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না।… আমার বই যদি লোকে পড়ে, তবে সে-ই হতে পারে আমার সেরা সম্মান।’

    দশ বছর পরে তিনি বৃদ্ধ হয়েছেন, চোখে আর দেখতে পান না মোটেই, ভাবছেন কী ভাবে তাঁর কাজ চালিয়ে নিয়ে যাবেন, কিন্তু একই সঙ্গে জানাচ্ছেন, ‘আমার মন দশ বছর আগের মতোই এখনও সমান ধারালো— ধার বাড়েনি হয়তো, কিন্তু কমেও যায়নি।’

    বিশ শতকের অদম্য এই মেধাজীবীর বহু বিষয়ে ভাবনার প্রাসঙ্গিকতাকে খানিক স্পর্শ করা যাবে এই বইয়ে।

     160.00
  • সন্দীপন ভট্টাচার্য সংকলিত ও সম্পাদিত
    ছবির রাস্তা 

    ছবির রাজনীতি যেমন তার বিষয়ে আছে, তেমনি আছে তার ফর্ম-এ, তার রূপে, তার গড়নে। আছে তার উৎপাদনের ধরনে। যে-কোন শিল্পকর্মের মতোই ছবিও কী ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে, কাদের জন্য হচ্ছে, কারা করছে, কোন্ পরিস্থিতিতে করছে, তার মাধ্যম কী, উপকরণ কী— সব-ই বিচার্য। এর পরে আছে তা দেখা এবং দেখানোর প্রশ্ন। ছবি যেহেতু দেখার জিনিশ, ফলে তা কী ভাবে দেখা হচ্ছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এই সব নিয়ে একদা হাতেকলমে কিছু কাজ করা হয়েছিল, ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে বেশি— অনতি অতীতের সেই সব কাজ ও ভাবনার কিছু নথিপত্র এই বইয়ে একজায়গায় করে দেওয়া গেল।

     200.00
  • শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়
    পিয়ের-অগুস্ত রেনোয়া : এক সৌন্দর্যসাধকের জীবন ও শিল্প

    শিল্প-আন্দোলনের ইতিহাসে ইমপ্রেশনিজম এক আশ্চর্য ঘটনা। কয়েকজন তরুণের শিল্পশৈলী ব্যঙ্গার্থে এই নাম কুড়িয়েও যে শিল্পজগতে চিরস্থায়ী মর্যাদা লাভ করে তা-ই শুধু নয়, রেনেসাঁস পর্বের পর এই প্রথম আধুনিক কালে দেখা যায় সচেতন এক রীতিকেন্দ্রিক কয়েকজন মহাপ্রতিভার বিকাশ ও বিবর্তন। ইমপ্রেশনিস্টদের প্রত্যেকেই তাঁদের স্বতঃস্ফূর্ত সৌন্দর্যবাদী সৃষ্টি দ্বারা দর্শকচিত্ত জয় করেন। তাঁদের সকলেরই বিশিষ্টতা অতুলনীয়। কিন্তু তার মধ্যেও রেনোয়া-র স্থান বিশিষ্ট। তাঁর চিত্রকলায় আগাগোড়া ধ্বনিত এক আনন্দগান, তাঁর শিল্পভুবনে চলে এক অবিরাম আনন্দোৎসব। মনে রাখতে হবে যে, ইমপ্রেশনিস্টরা যখন সক্রিয়, তখন ফ্রান্সের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাস মলিন ও বিক্ষুব্ধ। যাকে ‘রূঢ় বাস্তব’ বলি তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা রেনোয়া-র কম ছিল না : ফ্র্যাংকো-প্রুশীয় মহাযুদ্ধ ও পারি কমিউন-এর সঙ্গে তিনি একজীবনে দেখেন সমাজতন্ত্রী বিপ্লব ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধও। তবু এক বিপন্ন ও ক্লেদাক্ত পৃথিবীতে বসে তিনি রচনা করেন এক অমলিন সৌন্দর্যজগৎ। তাঁর চিত্রকলায় যে-‘সেলিব্রেশন অফ লাইফ’, তার আড়ালে সাধনা অকৃত্রিম বলেই তার আবেদন আজও অটুট। রেনোয়া-র মৃত্যুশতবর্ষ স্মরণ করে এ বই আমাদের শ্রদ্ধা-তর্পণ।

     200.00
  • ফেদেরিকো ফেলিনি
    একটি ছবির জন্ম ও অন্যান্য
    নির্বাচিত রচনা বক্তৃতা সাক্ষাৎকার

    চলচ্চিত্র-পড়ুয়াদের কাছে ইতালির মহত্তম পরিচালক ফেদেরিকো ফেলিনি (১৯২০-১৯৯৩) অবশ্যপাঠ্য। ‘লা স্ত্রাদা’, ‘লা দোলচে ভিতা’, ‘এইট অ্যান্ড হাফ’ বা ‘আমারকর্দ’-এর মতো আশ্চর্য সব কিংবদন্তি তৈরি হয়েছে তাঁর হাতে। অবশ্যপাঠ্য বলতে প্রথমত ফেলিনি-র ছবিই যে আগে পড়তে হবে, অর্থাৎ দেখতে হবে, সে-কথা বলা বাহুল্য। তার পরে আসে অন্যান্য সূত্র, অর্থাৎ তাঁর সম্পর্কে তাঁর নিজের এবং সমালোচকদের ভাষ্যপাঠের প্রশ্ন। কিন্তু সমালোচকরা কেউ তাঁকে বলেছেন ভণ্ড, ক্লাউন একটা, পাক্কা শয়তান। কেউ আবার বলেছেন, ওঃ যাদুকর লোক, পুরোদস্তুর কবি, সত্যিকারের প্রতিভাবান। বেশ। কিন্তু ফেলিনি নিজে কী বলছেন? নিজের জীবন, নিজের ছবি ইত্যাদি নিয়ে তাঁর নিজের ভাবনাটা কী? এ বইতে ঠিক সেই ভাবনার হদিশই রয়েছে ফেলিনি-র নিজের বয়ানে। আধুনিক চলচ্চিত্র নিয়ে উৎসাহী পাঠকের অবশ্যপাঠ্য।

     300.00
  • শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়
    আমেদেয়ো মদিলিয়ানি : বিষণ্ণ সৌন্দর্য-প্রেমিক এক শিল্পী 

    আমেদেয়ো মদিলিয়ানি [১৮৮৪-১৯২০] সেই সব আত্মনিবেদিত শিল্পীর একজন যাঁরা অনিচ্ছাকৃত ভাবে তাঁদের কেন্দ্র করে এক রোমান্টিক কিংবদন্তির জন্ম দেন। মদিলিয়ানি-কে ঘিরে তাঁর অজ্ঞাতসারে যে-কিংবদন্তি গড়ে ওঠে তা এই রকম :

    এক দিব্যকান্তি, দরিদ্র, অপচিত ও ক্ষয়িত চিত্রকর যিনি অকালমৃত্যুর শিকার হন অত্যধিক মদ্যপান, মাদকসেবন ও মাত্রাতিরিক্ত শ্রমের ফলে। এই রোমান্টিক কিংবদন্তি আমাদের আধুনিকতাবাদী চেতনার সঙ্গে সংশ্লেষিত হয়ে রচনা করে এক সম্মোহক বিভামণ্ডল, যার ফলে মদিলিয়ানি-র ব্যক্তিজীবন ও শিল্পকর্ম উপেক্ষা করা অসাধ্য হয়ে ওঠে।

    স্বল্পায়ু এই শিল্পী বিশ শতকের গোড়ায় আধুনিকতাবাদী শিল্প-আন্দোলনের তুঙ্গপর্বে বিরাজ করলেও তাঁর মধ্যে লক্ষ করি বহু শিল্পী ও শিল্পপ্রবাহের প্রভাব ও সমন্বয়, সহাবস্থান ও আত্মীকরণ। তারুণ্যধর্ম ও প্রতিভাবল— উভয়ই তাঁকে সাহায্য করে ভিন্নধর্মী শিল্পকলা ও শিল্পদর্শন দ্বারা সংক্রামিত ও সক্রিয় হতে। তাঁর মধ্যে আমরা লক্ষ করি বিভিন্ন শিল্পী ও শিল্পভাবের সমাবেশ।

    তাঁর শিল্পরচনায় যেমন প্রতিনিধিত্বমূলক বৈশিষ্ট্য লম্বাটে মুখ এবং শরীরী গড়ন আর বক্ররেখা-বেষ্টিত ছন্দযুক্ত পরিণত শৈলী, তেমনই তাঁর নগ্নিকা ও প্রতিকৃতিচিত্রগুলির অন্তিম পর্যায়ের এক অমোচনীয় বিশিষ্টতা, সূক্ষ্ম নকশা এবং পেলব বর্ণপ্রয়োগের নিগূঢ়তার অপাপবিদ্ধ সৌন্দর্য তাড়িত করে আমাদের। হয়তো এই কারণেই জঁ ককতো তাঁর সম্পর্কে বলেন, “সেই বীরত্বময় যুগের সরলতম ও মহত্তম প্রতিভা।”

    শিল্পীর মৃত্যুশতবর্ষে অজস্র রঙিন ও শাদা-কালো চিত্রশোভিত এই বই আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

     200.00
  • জ্যাক কেরুয়াক, উইলিয়ম বারোজ ও অ্যালেন গিনসবার্গ-এর সঙ্গে কথোপকথন
    বিট প্রজন্ম অফবিট প্রসঙ্গ

    “কেরুয়াক আর জন ক্লেলন হোমস-এর সঙ্গে ১৯৫০-৫১ সালে সমকালীন প্রজন্মের চরিত্র নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রথম কথাটা উঠে আসে। কেরুয়াক এই প্রজন্মের কোন সুসঙ্গত চরিত্রের কথা অস্বীকার করে এবং বলে ওঠে, ‘আঃ, বিট প্রজন্ম ছাড়া কিছু নয় আমরা।’ হোমস তারপর নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর ম্যাগাজিনে ১৯৫২-য় একটা প্রবন্ধ লেখে, যার শিরোনাম ছিল ‘এ হল বিট প্রজন্ম’। ব্যাস, তারপর এটাই দাঁড়িয়ে গেল।

    “এর বছর-দশেক আগে টাইমস স্কোয়ারে এ কথা আকছার বলা হত, ‘ওহে, আমি একজন বিট…’, মানে পয়সাকড়ি কিছু নেই আমার, থাকার একটা জায়গা পর্যন্ত নেই। অর্থাৎ এর আদত মানে হল আমি পরিশ্রান্ত, একেবারে অতলে তলিয়ে আছি, ঘুমোইনি কতদিন, সমাজ আমায় প্রত্যাখ্যান করেছে ইত্যাদি।… কিংবা ‘উন্মুক্ত’, হুইটম্যান যে-অর্থে উন্মুক্ততার কথা বলেছেন, প্রায় বিনম্রতার সমার্থক, কোন-কোন মহলে যার মানে পরিশ্রান্ত হলেও আমার সত্তা কিন্তু যে-কোন দিব্য অভিজ্ঞতা গ্রহণ ও অনুধাবনের জন্য উন্মুখ ও প্রস্তুত।

    “মিডিয়া এর কদর্থ করা শুরু করলে কেরুয়াক কথাটা আর-একটু মার্জিত করে। যেমন তারা বলে, এর মানে নাকি সম্পূর্ণ পরাজিত, কিংবা ড্রামের বিট ইত্যাদি, যা একেবারেই ভুলভাল। কেরুয়াক তখন শব্দটার উৎসে ফিরে যায় এবং জানায় যে beat মানে be-at, যেমন কিনা beatitude বা beatific। ‘বিট প্রজন্মের উৎস’-এ সে এভাবেই কথাটা ব্যাখ্যা করেছে। সত্তার অন্ধকার বা অজ্ঞানতার অন্ধকার সরিয়ে যা আলো আসার পথ খুলে দেয়, অহংশূন্য করে এবং ধর্মীয় উদ্ভাসের পথ মুক্ত করে।” (অ্যালেন গিনসবার্গ)

    বিট প্রজন্মের তিন দিকপাল— কেরুয়াক, বারোজ আর গিনসবার্গ-এর তিনটি দীর্ঘ কথোপকথন নিয়ে এই বই। আলোচিত প্রসঙ্গের মধ্যে আছে– গদ্যের স্টাইল, নীল কাসাডি, হাইকু; শব্দ-নৈঃশব্দ্যের কাটাছেঁড়া, মায়া-পুঁথি, নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতা; ব্লেক, সেজান, কবিতা ও দিব্যদর্শনের ভূমিকা ইত্যাদি অফবিট নানান প্রসঙ্গ।

    সংকলন, সম্পাদনা ও ভাষান্তর : সন্দীপন ভট্টাচার্য

     200.00
  • সিমন দ্য বোভোয়া
    মেয়েদের হার মেয়েদের জিত

    এই বই শুরু হচ্ছে লেখিকার আত্মজীবনীর (১৯৬৩) নির্বাচিত অংশ দিয়ে এবং তারপর রয়েছে ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে তিনটি সাক্ষাৎকারের বয়ান। আত্মজীবনের প্রসঙ্গে এবং সংযোজিত সাক্ষাৎকারের বয়ানে মেয়েদের জীবন ও সংগ্রামের নানা দিক নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছেন সিমন, এসেছে তাঁর প্রবাদপ্রতিম বই ‘দ্য সেকেন্ড সেক্স’-এর কথা, আধুনিক নারীবাদের সূচনা ও পরবর্তী বিকাশের কথা, সেই সঙ্গে তাঁর সারা জীবনের লেখাপত্র নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। নতুন এই সংস্করণে আরও সংযোজিত হয়েছে বিশ্বজোড়া নারী-আন্দোলনের বেশ কিছু পোস্টারের প্রতিলিপি।

     160.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত সম্পাদিত
    চিহ্ন বদল চিহ্ন দখল : বাংলা ব্যঙ্গ-চিত্র-কথায় নারী

    এই বইটি তিনটি চিত্রকথা নিয়ে সাজানো– ১. নারী-বিদ্রোহ, ছবি ও কথা : যতীন্দ্রকুমার সেন, প্রথম প্রকাশ ১৩২৬ বঙ্গাব্দ; ২. শুভদিন, কথা : অমৃতলাল বসু, ছবি : সতীশচন্দ্র সিংহ, প্রথম প্রকাশ ১৩৩৩ ব.; ৩. একবিংশ-শতাব্দী-নারী-চরিতম, কথা ও ছবি : বিনয়কুমার বসু, প্রকাশ ১৩৩৪ ব.।

    সাম্প্রতিক কালে নারী-আন্দোলনের একটা বিষয় হল, যে-সকল চিহ্ন দিয়ে নারীদের আলাদা করে রাখা হয়, সরিয়ে রাখা হয়, অন্ত্যজ করে রাখা হয়, প্রান্তে রাখা হয়, সেই সকল চিহ্নকে অস্বীকার করা। চিহ্নের মাধ্যমে যে আলাদা করা, চিহ্নকে যে ক্ষমতার হাতিয়ার হিসাবে দেখানো, তার প্রতিবাদ করা। এই বইয়ের তিনটি চিত্রকথায় সেই চিহ্নের কথা, পুরুষ-নির্ধারিত নারীচিহ্নকে অস্বীকার করা, পরিত্যাগ করার কথা আছে। পুরুষ-নির্ধারিত পুরুষচিহ্নে নারীদের অংশগ্রহণ করা ও সেই সব চিহ্নক্ষেত্র দখল করার কথা আছে। কথা আছে নারী-পুরুষ-বিভক্ত পরিসরকে পালটে দেওয়ার । এই সময়ে এই সংকলন তৈরি করার বলা যায়, এটাই প্রধান কৈফিয়ত।

     220.00
Shop
Filters
0 Wishlist
0 Cart