Brands

Sort By:
View:
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত
    বাংলা কার্টুনে ক্ষমতার ছবি

     কার্টুন, বাংলা কার্টুন, বাংলা কার্টুনশিল্পীরা নানা বিষয় নিয়ে কথা বলে, ছবি আঁকে, বুঝিয়ে বলে, ধরিয়ে দেয়, নতুন দিক দেখায়, সমালোচনা করে, মত জানায়।

    বাংলা কার্টুনের বিষয় সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি, ইতিহাস। একটা সময়ের, নানা সময়ের।

    এই বইয়ের জন্য বেছে নেওয়া বিষয়— ‘ক্ষমতা’। ক্ষমতার চরিত্র, চেহারা, সময়কাল, ধরন। ছবির ভূগোল ভারত।

    ‘ক্ষমতা’-কে ভাগ করা কয়েকটি ভাগে— বিদেশি শাসক, স্বাধীনতার পরে স্বাধীন দেশ, স্বদেশি শাসন : সামাজিক ক্ষমতা, সশস্ত্র ক্ষমতা, রাজনৈতিক ক্ষমতা, অর্থনৈতিক ক্ষমতা, প্রশাসনিক ক্ষমতা, ক্ষমতার বিন্যাস।

    পেপারব্যাক, ১২০ পৃষ্ঠা

     280.00
  • সংবাদ-চিত্রকর চিত্তপ্রসাদ

    গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : শুভেন্দু দাশগুপ্ত

    এই বইটা চিত্তপ্রসাদকে নিয়ে, চিত্তপ্রসাদের আঁকা বিশেষ ধরনের ছবি নিয়ে। ১৯৪০-এর দশক। চিত্তপ্রসাদ তখন কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার সদস্য। পার্টি-কর্মী চিত্তপ্রসাদ কমিউনিস্ট পার্টির ইংরাজি ভাষায় প্রকাশিত পত্রিকা প্রথমে পিপলস ওয়র, পরে নাম বদলিয়ে পিপলস এজ-এ ছবি আঁকছেন। প্রতিবেদন লিখছেন। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য চিত্তপ্রসাদ পার্টির কাগজের চিত্রকর, প্রতিবেদক-চিত্রকর। এই বইটা সেই সংবাদ-চিত্রকর চিত্তপ্রসাদকে নিয়ে।

    চিত্তপ্রসাদ ছবিকে, চিত্রশিল্পকে কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতিকতা, রাজনীতিক আন্দোলন, রাজনীতিক প্রতিরোধের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছেন। চিত্তপ্রসাদের ছবি রাজনৈতিক। এবং এই প্রত্যেকটি ছবি ও লেখার একটা রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পটভূমি রয়েছে। তার যতটা সম্ভব, এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ছবিগুলির কয়েকটি নানা বইতে রয়েছে। বেশির ভাগই নেই। সেদিক থেকে ভাবলে বেশির ভাগ পাঠক এই সব ছবি এই প্রথম দেখবেন।

    কমিউনিস্ট পার্টির কাগজে ছাপা লেখাগুলি তো কমিউনিস্ট ভাবনার ইতিহাস— কখন, কোন্‌ সময়ে, কী বিষয়ে, কেন, কমিউনিস্ট পার্টি এমন ভেবেছে, লিখেছে, জানিয়েছে। লেখার পাশে ছবিও ইতিহাস আঁকে। ইতিহাস ব্যাখ্যা করে অন্য এক ভাষায়, অন্য এক ধরনে। চিত্তপ্রসাদ ছবি এঁকে সেই ইতিহাসের কোথাও সহকারী, কোথাও স্বাধীন রচয়িতা। সেই ইতিহাস চিত্তপ্রসাদ যেভাবে দেখেছেন, অনুভবে, ব্যাখ্যায়, পার্টির রাজনীতিক ধারণায়, নিজের রাজনীতিকতায়, শিল্পীসত্তায়, তা-ই এঁকে রেখেছেন পত্রিকার পাতায়, যা এখন ইতিহাসের মহাফেজখানায়।

    এ-ও এক ধরনের চিত্রপ্রদর্শনী। বিষয় যে-ভাবে আছে সে-ভাবে নয়, যে-ভাবে বিষয়কে দেখাতে চাওয়া, সে-ভাবে আঁকা। বাস্তবে যে-ভাবে এল, আছে, আসছে, আসবে, শুধু সে-ভাবেই নয়, বাস্তব যেমন হওয়াতে চায় শিল্পী সেই ভাবে।

     640.00
  • পল গগ্যাঁ # ভিনসেন্ট ভান গখ
    দুই শিল্পীর চিঠি
    পারস্পরিক-পারম্পরিক

    গগ্যাঁ ও ভান গখ-এর পরস্পরকে লেখা এই চিঠিগুলি, এক অর্থে, পাশ্চাত্যের শিল্প-ইতিহাসের এক বিশেষ পর্বের প্রাথমিক দলিল। দুর্ভাগ্যবশত, দুনিয়া জুড়েই মানুষ শিল্প নিয়ে নানান গালগল্পে অভ্যস্ত। এই চিঠিগুলি হতে পারে তার পালটা এবং প্রকৃত বয়ান। শিল্পীদের নিজের বয়ানেই তাঁদের দৈনন্দিন জীবন, কাজ, ভাবনার কথা জানা সব-সময়েই ভালো।

    বিস্ময়কর যে, শরীর-স্বাস্থ্যের সাংঘাতিক অবস্থা এবং চিরদারিদ্র্যের মধ্যেও এই দু-জন শুধু ছবিই আঁকেননি, সেই সঙ্গে তাঁদের প্রতিদিনের জীবন ও ভাবনাকে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশদে বর্ণনা করে গেছেন। গখ মূলত চিঠিতে, গগ্যাঁ চিঠি ছাড়াও নানান লেখায়। একদিক থেকে এই সব চিঠিপত্র তাঁদের শিল্পভাবনার তাত্ত্বিক দলিল, তাঁদের শিল্প-ইস্তাহারও। আবার এখান থেকেই তাঁদের জীবন নিয়ে যে-সব রহস্যগল্প তৈরি হয়েছে, তারও খানিকটা নিরসন হয়।

    সংকলন ও ভাষান্তর : সন্দীপন ভট্টাচার্য

     260.00
  • বের্টোল্ট ব্রেখ্‌ট
    নির্বাসিতের জার্নাল
    ১৯৩৪-১৯৪৮

    রাইখস্টাগ-এ আগুন লাগার পর-পরই ১৯৩৩-এ দেশ ছাড়েন ব্রেখট। প্রথমে প্রাগ ও ভিয়েনা হয়ে সুইজারল্যান্ড, সেখান থেকে ডেনমার্ক। বছর-পাঁচেক সেখানে থাকার পর সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে থাকেন কিছুদিন করে, তারপর ছ-বছর আমেরিকা, শেষের এক বছর কাটে সুইজারল্যান্ডে। অবশেষে খণ্ডিত দেশে, পূর্ব বার্লিন ফেরেন, ১৯৪৮।

    নির্বাসনের দিনগুলিতে নাটক ও কবিতার পাশাপাশি প্রায় নিয়মিত এই দিনলিপি লিখে গেছেন তিনি। লেখা বাহুল্য যে যার একটা নির্বাচিত খণ্ডাংশই এই বইয়ে অনুবাদ করা সম্ভব হয়েছে। এই বইয়ের আগের সংস্করণে ১৯৩৪ থেকে ১৯৪০ পর্যন্ত ছ-বছরের বয়ান ছিল, এই সংস্করণে পরের আট বছর, অর্থাৎ ১৯৪৮-এ দেশে ফেরা পর্যন্ত দিনলিপির নির্বাচিত বয়ান যোগ করে আপাতত এই কাজ শেষ হল।

    সংকলন ও ভাষান্তর : সন্দীপন ভট্টাচার্য

     260.00
  • লো ক শি ল্প লো ক
    নির্বাচিত প্রতিবেদন

    লোকশিল্প বাঁচবে না, বা সে ইতোমধ্যেই মৃত। যে-সমাজে বা যে-সব জনগোষ্ঠীতে এর বিবিধ রূপের সৃষ্টি, যে-সময়ে বা যে-ব্যবস্থায় এই সব রূপের লালন, তার কিছুই আজ নেই। এবং চাইলেও তা আর ফিরবে না। ফলে লোকশিল্পের যে-কোন আলোচনা, যে-কোন প্রতিবেদন সেই হারিয়ে-যাওয়া সমাজ আর ফেলে-আসা সময়ের জন্য দীর্ঘশ্বাস মাত্র।

    লোকশিল্পকে তার মৌলিক রূপে আর ফেরানো যাবে না, বাইরে থেকে অনুদান কিংবা উপদেশ দিয়ে তার অস্তিত্বের সংকট কাটবে না। অনুদানে কিছু উপকার হতে পারে, সেটা জরুরিও, কিন্তু তার রূপ পালটে বা বাণিজ্যিক ভাবে তা ব্যবহার করে এখনকার সমাজের উপযোগী করতে গেলে ফল হবে বিকৃত, এবং ব্যর্থ। তার উদাহরণ যে নিত্য আমাদের চোখে পড়ে না, এমনও নয়।

    এখন বরং খোঁজার সময় কোথায় তার মূল, কোথায় তার জোর, আর তার জনপ্রিয়তার রহস্য। এবং সৃষ্টিশীল মানুষজন যদি সেই অনুসন্ধানের ফল আজ নিজের কাজে ব্যবহার করতে পারেন, তবেই লোকশিল্পের আদত পুনরুজ্জীবন ঘটবে।

    বলা যায়, সেই লক্ষ্যেই এই সংকলন। আশা করা যায়, এখানে সংকলিত প্রখ্যাত শিল্পী এবং শিল্পরসজ্ঞদের লেখাপত্রে তার কিছু-কিছু সূত্র নিশ্চয় মিলবে।

    সংকলন ও বিন্যাস : সন্দীপন ভট্টাচার্য

     380.00
  • বধ্যভূমি গাজা
    প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বয়ান

    সংকলন ও ভাষান্তর : ত্রিয়াশা লাহিড়ী

    পালেস্তাইন ও ইজরায়েলের সংঘাত ও সংঘর্ষের ইতিহাস আজকের নয়। গত বছর ইজরায়েলের দিক থেকে তা সংঘর্ষের নতুন স্তরে পৌঁছয়।

    কিন্তু যুদ্ধের তথ্যগত রিপোর্ট পড়া এক, আর যুদ্ধের নির্মমতায় দিনযাপন করা আর-এক। এই বইতে মনুষ্যেতর দিনযাপনের সেই অভিজ্ঞতার বয়ানই রয়েছে।

    এখানে যাঁদের লেখা আছে তাঁদের মধ্যে একেবারে অল্পবয়সী পড়ুয়া থেকে সাংবাদিক, গায়ক, লেখক, সাংস্কৃতিক কর্মী, আইনজীবী, মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মী— অনেকেই রয়েছেন। যাঁদের জবানবন্দি একত্র করা হয়েছে, খোঁজ নিলে দেখা যাবে আর-পাঁচজন নিরস্ত্র সাধারণ ফিলিস্তিনির মতো তারা অনেকে হয়তো ইতিমধ্যেই শহিদ হয়েছেন! অথবা অনেকে রাজনৈতিক বন্দির তকমা পেয়ে এখন জেলের গরাদের ওপারে!

    তবু পালেস্তাইনের অধিবাসীরা সাহসের সঙ্গে কলম ধরেছেন। নিজেদের কথা জোরের সঙ্গে জানিয়েছেন। তাঁরা প্রমাণ করেছেন, ইজরায়েলি সৈন্যরা প্রতিবাদী জনতার কণ্ঠস্বরকে শেষ পর্যন্ত রুদ্ধ করতে অক্ষম। প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর হাতছানিকে অস্বীকার করে, স্রেফ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য তাঁদের এই নিরন্তর লড়াইয়ের স্পর্ধাকে সেলাম। তাঁদের লেখা সমস্ত অক্ষর সীমান্ত পেরিয়ে যেন সকলের কাছে পৌঁছয়, এই এ-বইয়ের উদ্দেশ্য। ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধই পারে, এই বর্বর গণহত্যা বন্ধ করতে, যুদ্ধ বন্ধ করতে, সর্বোপরি পালেস্তাইনকে স্বাধীন করতে।

     180.00
  • মে য়ে দে র  জ বা ন
    গ্রন্থনা : শুভেন্দু দাশগুপ্ত

    কথাগুলো মেয়েদের, মেয়েদের কাছ থেকেই নেওয়া। গল্পের আকারে, সংলাপের আকারে সাজিয়ে দেওয়া মাত্র। কথাগুলো আসলে মেয়েদের অধিকারের, অধিকার রক্ষার, আসলে ছেলে আর মেয়েদের মধ্যে চলিত নানা রকম বৈষম্যের। সবই আমাদের জানা, জানা থাকলেও ভুলে যাই আমরা, ভুলে যাতে না-যাই, সে-জন্য এখানে একসঙ্গে রাখা। এর বাইরেও আরও অনেক কথা আছে, থাকা স্বাভাবিক, সেই সব কথার কিছু-কিছু মেয়েরাই এগিয়ে এসে বলেছেন, আরও বলবেন, যত বেশি বলা যাবে, তত এই জগদ্দল একটু-একটু নড়বে। সমাজও সুস্থতার দিকে এগোবে। দায়িত্ব সকলের।

    আইন দরকার, বিচার দরকার, শাস্তি দরকার, কিন্তু তাতেই সব হিংসা, সব অত্যাচার, সব বৈষম্যের অবসান হবে না। দরকার লাগাতার আন্দোলন। মেয়েদের স্বাধীনতার আন্দোলন, স্বাধীন পরিসরের জন্য আন্দোলন।

     80.00
  • লিওনার্দো দা ভিঞ্চি
    জীবনচরিত ও জীবনভাষ্য

    জর্জিও ভাসারি (১৫১১-৭৪) এক ইতালীয় চিত্রকর, স্থপতি এবং লেখক। ইতালীয় রেনেসাঁ-কালীন শিল্পীদের জীবনী লেখার সূত্রে তাঁকে বিশ্বের প্রথম শিল্প-ঐতিহাসিক বলে মান্য করা হয়। এ বইয়ে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি-র ‘জীবনচরিত’ তাঁর বিখ্যাত বই ‘লাইভস অফ দ্য মোস্ট এক্সেলেন্ট পেন্টারস, স্কাল্পটরস অ্যান্ড আর্কিটেকটস’ থেকে নেওয়া।

    ‘জীবনভাষ্য’ লিওনার্দো-র সুবিখ্যাত ‘নোটবুক’-এর ক্ষুদ্র একটি অংশ। অভিজ্ঞতা এবং যুক্তিবিচার ও প্রকৃতির সূত্র নিয়ে লিওনার্দো-র আলোকিত চিন্তা।

    পূর্বপ্রকাশিত দুটি লেখা এ বইয়ে একত্রে সংকলিত।

    সংকলন ও ভাষান্তর : সন্দীপন ভট্টাচার্য

     150.00
  • বীতশোক ভট্টাচার্য
    ছবি দেখা ছবি শেখা : সিনেমা নিয়ে লেখা

    বীতশোক ভট্টাচার্য-র কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ একটি যৌথ কাব্য সংকলনের মধ্য দিয়ে, প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। তাঁর চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রথম লেখাটিও প্রকাশিত হয়েছিল ঐ ১৯৭৪-এই। এর থেকে ধারণা করে নেওয়া যায়, শুরু থেকেই সিনেমা নিয়ে তিনি সমান আগ্রহী ছিলেন। বীতশোক সিনেমা নিয়ে শুধু লিখেছেন এমন না, তথ্যচিত্রের জন্য যৌথ ভাবে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন, ধারাভাষ্য লিখেছেন, চলচ্চিত্র বিষয়ক বই সম্পাদনা করেছেন, এমনকী এ বিষয়ে পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গেও একসময় যুক্ত ছিলেন।

    প্রকাশিত তাঁর দুটি প্রবন্ধের বইয়ে চারটি সিনেমা বিষয়ক লেখা গ্রন্থিত হয়েছে, সুতরাং পাঠকের কাছে বীতশোক ভট্টাচার্য-র ভাবনার এই দিকটি একেবারে অজানা, এমন নয়। তার পরও, কবি ও সাহিত্যের নানা বিষয়ে প্রাবন্ধিক পরিচয়েই আমরা বীতশোককে বেশি জানি, তাঁর ভাবনার অন্য এই দিকটি সাধারণত আলোচনার বাইরে থেকে যায়।

    সিনেমা-র বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর মৌলিক ভাবনার খানিকটা ধরা থাকল সিনেমা নিয়ে তাঁর গ্রন্থিত ও অগ্রন্থিত রচনার এই সংকলনে।

    প্রথম সংস্করণ,
    পেপারব্যাক, ১১২ পৃষ্ঠা

     240.00
  • ছবির রাজনীতি রাজনৈতিক ছবি
    তৃতীয় ভাগ

    সংকলন ও বিন্যাস : সন্দীপন ভট্টাচার্য

    এ বই যখন প্রথম বেরিয়েছিল তখন এ বিষয়ে আর-একটিও বাংলা বই ছিল না, এবং এখনও, খুব সম্ভবত নেই। মাঝে যদিও, তিন দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এটা এ বইয়ের পক্ষে সুখবর নয়। যদিও এই সময়ে ছবি ও রাজনীতি নিয়ে কথা কিছু কম হয়নি, কিন্তু এ দুয়ের পরস্পর-সম্পর্ক নিয়ে কথা বলার দায় এবং ঝুঁকি সংশ্লিষ্ট সকলেই সুবিধামাফিক এড়িয়ে গেছেন। তাই সেই পুরনো সংকলনই ফের নতুন করে, নতুন চেহারায় বের করতে হচ্ছে, এবং সেটা তিন ভাগে ভেঙে, আর তার কারণ বিশদে বইয়ের শুরুতে বলা আছে। সেখানে এ কথাও বলা আছে যে নতুন লেখাপত্র যোগে ভবিষ্যতে আরও দু-একটি ভাগও বেরোতে পারে। আগের সংকলনের সঙ্গে নতুন এই সংকলনের প্রধান প্রভেদ মুদ্রিত ছবির সংখ্যায়, আগে যে-সব ছবি ছাপা যায়নি, এবার তার অনেকটাই যোগ করা গেছে। তাতে এই সংকলনে বোধ হয় একটা পূর্ণতা এসেছে।

    এই ভাগে যা আছে : ভারতীয় শিল্পকলার সামাজিক পটভূমি নিয়ে ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের একটি লেখা, চিত্তপ্রসাদ-এর দুটি লেখা ও বন্ধুকে লেখা চিঠির নির্বাচিত অংশ, দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার-ভিত্তিক একটি লেখা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শোভন সোম ও শুভেন্দু দাশগুপ্তের দুটি লেখা।

    প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ ইতিমধ্যেই প্রকাশিত, এটি এই বইয়ের তৃতীয় এবং আপাতত শেষ ভাগ।

     280.00
  • ভোলানাথ ভট্টাচার্য
    শিল্পভাবনা

    বাঙালি জাতটি ইদানীন্তন বা ভুঁইফোড় নয়; নিছক উদরপূর্তি ছাড়া জীবনকে সৌন্দর্যে ও লাবণ্যে মণ্ডিত করার জন্য এবং অন্তর্নিহিত শিল্পচেতনাকে বহুধা বিকশিত করে তোলার জন্য যুগ-যুগ ধরে সামাজিক স্তরে তার এক ব্যাপক ও নিগূঢ় প্রয়াস ও সাধনা চলে এসেছে। সেই বিস্তীর্ণ শিল্পচর্চা, যা বাঙালির প্রাণবত্তারই সমষ্টিগত প্রকাশ, তা যুগে-যুগে কী ভাবে এবং কেন কোন্ রূপ পরিগ্রহ করেছে, তার আঁকাবাঁকা স্রোতে কোথা থেকে কোন্ জলরাশি এসে তাকে পুষ্ট করেছে, তার নিজের বহুমুখী অবয়বের পরস্পরের মধ্যে কোন্ মিথস্ক্রিয়া তার অগ্রগতিতে কী ভাবে সহায়তা করেছে— এই সব প্রাসঙ্গিক বৃত্তান্ত কথঞ্চিৎ স্বচ্ছ হলে বোধ হয় বাঙলার শিল্পের অদ্যতন রূপটির সম্যক্ উপলব্ধি সম্ভবপর হয়। এতাদৃশ উপলব্ধির অভীপ্সায় চঞ্চল হয়ে প্রয়াত লেখক দীর্ঘদিন যাবৎ এই দুরূহ সন্ধানে ব্রতী ছিলেন। এই গ্রন্থ তার পরিণাম।

     300.00
  • নবপত্রিকা : ভেষজ চরিত
    সংকলক : নুসরাত জাহান

    নবপত্রিকা কি নয়টি পাতা, নাকি বর্ষার ঢল নেমে যাওয়ার পর নতুন পলি মাটিতে গজিয়ে ওঠা নতুন কিশলয়? হরপ্রসাদ শাস্ত্রী থেকে সুহৃদকুমার ভৌমিক সেই তর্ক জারি রেখেছেন। শরৎকালের এই মহাপূজায় বাসন্তীও দখল চেয়েছেন। সমস্ত আগ্রাসন, দূষণ আর উপনিবেশের বাঁধ ভেঙে আজও শরতের নতুন পলিতে এই সব পাতারা মাথা তোলে। বানভাসি কৃষাণির মতোই নতুন জন্মের আনন্দে ঝলমল করে ওঠে তাদের শক্তি। দেবীর ভক্তদের মতোই উপমহাদেশের মাটি শেষ অধ্যায়ে মাথা নত করে নবকিশলয়ের কাছে।

    পুরাণে, লোককথায়, মিথে ও মিথস্ক্রিয়ায় নবপত্রিকার ন-টি পাতা।

    প্রথম সংস্করণ
    পেপারব্যাক, ৫৬ পৃষ্ঠা

     125.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত
    দ ত্ত  কে বি ন

    শুভেন্দু দাশগুপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন অর্থনীতি, তা নিয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন, পত্রিকা করেছেন। অবসরের পর সরে এসেছেন অন্যতম আগ্রহের বিষয় শিল্পকলায়। বাংলার কার্টুন, পোস্টার ইত্যাদি জনশিল্পের নানান রূপ নিয়ে গবেষণা করেছেন, বই লিখেছেন, এবং এভাবে প্রায়-অবহেলিত এই সব শিল্পরূপকে নতুন করে জনমানসে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

    দ ত্ত  কে বি ন : তাঁর প্রথম এবং এখনও পর্যন্ত একমাত্র উপন্যাস।

    প্রথম সংস্করণ
    পেপারব্যাক, ৭২ পৃষ্ঠা

     160.00
  • সোমশঙ্কর রায় লিখিত ও চিত্রিত
    পাঁচুর একাদশী

    “এক দেশে এক চোর ছিল। দেশের নাম, যা হোক কিছু-একটা হবে। আর চোরের নাম?… ধরা যাক, তার নাম পাঁচু। সবাই তাকে ‘পাঁচুচোর’ বলে ডাকে। এতে ওর কিছু যায়-আসে না। লোকে জানে পাঁচু চুরি করে। কিন্তু হাতেনাতে কখনও ধরা পড়েনি। শুধু একটা বিষয় কিছুতেই মাথায় ঢোকে না— ওর কাজটাকে দেশের লোক কেন ভালো চোখে দেখে না। পাঁচু শুনেছে দেশের রাজাকেও ওরা কখনও-সখনও চোর বলে। মাঝে-মধ্যে রাস্তায় দল বেঁধে ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, দেশের রাজা চোর হ্যায়’ বলতে-বলতে যায়। আবার কিছুদিন পরে এরাই রাজাকে মাথায় করে সিংহাসনে বসিয়ে দিয়ে আসে। পাঁচুর হিসেব মেলে না। রাজার বেলায় এক রকম, আর তার বেলায় আর-এক রকম!”

    এ বইয়ে হিসেবের প্যাঁচে বিভ্রান্ত পাঁচুর গল্প বলেছে সোমশঙ্কর, যে-পাঁচু কমবেশি আমাদের পরিচিত, বা আমরাই পাঁচু। গল্পের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আঁকা সোমশঙ্করেরই অসামান্য সব ছবিতে এ বই আরও খোলতাই হয়েছে।

     150.00
  • sculpture by alakananda sengupta

    digital print on archival art paper
    (300 gsm, 30 cm X 45 cm)

    free shipping

     100.00
  • মলয় রায়
    পূর্বভারতের মধ্যযুগীয় রামায়ণ : সমাজ ও জীবন

    ভারতবর্ষের প্রায় সমস্ত ভাষাতেই বাল্মীকি-রচিত রামায়ণ (কয়েকটি আঞ্চলিক প্রকারভেদ-সহ) অনূদিত তথা কিছু স্থানীয় বৈশিষ্ট্য-সহ সমৃদ্ধতর হয়ে প্রকাশিত হয়েছে। এই বইয়ে আলোচনার অন্তর্গত বিভিন্ন অঞ্চলের রামায়ণ-অনুবাদক কবিগণ সামাজিক কাঠামোর সঙ্গে সমন্বিত করে এর স্থানীয় রূপ নির্মাণে সচেষ্ট ছিলেন। এই অনুবাদগ্রন্থগুলি শুধু এই সব অঞ্চলের মূল্যবান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানসমূহই পরিবেশন করেনি, সেই সঙ্গে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক যোগসূত্র স্থাপনের ক্ষেত্রেও এই গ্রন্থগুলির মূল্যবান ভূমিকা রয়েছে।

    এই বইয়ে লেখক পূর্বভারতের প্রধান চারটি ভাষাকে অবলম্বন করেছেন— অসমিয়া, বাংলা, ওড়িয়া এবং হিন্দি (অবধি)। প্রধান উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ছিল আঞ্চলিক ভাষায় লিখিত এই সব গ্রন্থে যে-সমস্ত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উপকরণ পরিকীর্ণ হয়ে আছে, সেগুলিকে নির্বাচন ও বিশ্লেষণ করা এবং সেগুলির মধ্যে যথাসম্ভব কার্যকারণ যোগসূত্র স্থাপন করা।

    এই সব ভাষাবদ্ধ রামায়ণসমূহের প্রধানতম ও জনপ্রিয়তম কবিরা ছিলেন— ১. অসমিয়া : মাধব কন্দলী, ২. বাংলা : কৃত্তিবাস ওঝা, ৩. ওড়িয়া : বলরাম দাস এবং ৪. হিন্দি (অবধি) : তুলসীদাস। আলোচনার কালসীমা মোটের ওপর চোদ্দ শতক থেকে ষোলো শতকের মধ্যবর্তী সময়।

    ‘বাঙালির বেশবাস : বিবর্তনের রূপরেখা’ গ্রন্থের লেখক এই বইয়ে সে-আলোচনা কতটা সাফল্যের সঙ্গে করতে পেরেছেন, তা পাঠকের বিচার্য।

     480.00
Shop
Filters
0 Wishlist
1 Cart