Brands

Sort By:
View:
  • ফেদেরিকো ফেলিনি
    একটি ছবির জন্ম ও অন্যান্য
    নির্বাচিত রচনা বক্তৃতা সাক্ষাৎকার

    চলচ্চিত্র-পড়ুয়াদের কাছে ইতালির মহত্তম পরিচালক ফেদেরিকো ফেলিনি (১৯২০-১৯৯৩) অবশ্যপাঠ্য। ‘লা স্ত্রাদা’, ‘লা দোলচে ভিতা’, ‘এইট অ্যান্ড হাফ’ বা ‘আমারকর্দ’-এর মতো আশ্চর্য সব কিংবদন্তি তৈরি হয়েছে তাঁর হাতে। অবশ্যপাঠ্য বলতে প্রথমত ফেলিনি-র ছবিই যে আগে পড়তে হবে, অর্থাৎ দেখতে হবে, সে-কথা বলা বাহুল্য। তার পরে আসে অন্যান্য সূত্র, অর্থাৎ তাঁর সম্পর্কে তাঁর নিজের এবং সমালোচকদের ভাষ্যপাঠের প্রশ্ন। কিন্তু সমালোচকরা কেউ তাঁকে বলেছেন ভণ্ড, ক্লাউন একটা, পাক্কা শয়তান। কেউ আবার বলেছেন, ওঃ যাদুকর লোক, পুরোদস্তুর কবি, সত্যিকারের প্রতিভাবান। বেশ। কিন্তু ফেলিনি নিজে কী বলছেন? নিজের জীবন, নিজের ছবি ইত্যাদি নিয়ে তাঁর নিজের ভাবনাটা কী? এ বইতে ঠিক সেই ভাবনার হদিশই রয়েছে ফেলিনি-র নিজের বয়ানে। আধুনিক চলচ্চিত্র নিয়ে উৎসাহী পাঠকের অবশ্যপাঠ্য।

     300.00
  • সিমন দ্য বোভোয়া
    মেয়েদের হার মেয়েদের জিত

    এই বই শুরু হচ্ছে লেখিকার আত্মজীবনীর (১৯৬৩) নির্বাচিত অংশ দিয়ে এবং তারপর রয়েছে ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে তিনটি সাক্ষাৎকারের বয়ান। আত্মজীবনের প্রসঙ্গে এবং সংযোজিত সাক্ষাৎকারের বয়ানে মেয়েদের জীবন ও সংগ্রামের নানা দিক নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছেন সিমন, এসেছে তাঁর প্রবাদপ্রতিম বই ‘দ্য সেকেন্ড সেক্স’-এর কথা, আধুনিক নারীবাদের সূচনা ও পরবর্তী বিকাশের কথা, সেই সঙ্গে তাঁর সারা জীবনের লেখাপত্র নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। নতুন এই সংস্করণে আরও সংযোজিত হয়েছে বিশ্বজোড়া নারী-আন্দোলনের বেশ কিছু পোস্টারের প্রতিলিপি।

     160.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত সম্পাদিত
    চিহ্ন বদল চিহ্ন দখল : বাংলা ব্যঙ্গ-চিত্র-কথায় নারী

    এই বইটি তিনটি চিত্রকথা নিয়ে সাজানো– ১. নারী-বিদ্রোহ, ছবি ও কথা : যতীন্দ্রকুমার সেন, প্রথম প্রকাশ ১৩২৬ বঙ্গাব্দ; ২. শুভদিন, কথা : অমৃতলাল বসু, ছবি : সতীশচন্দ্র সিংহ, প্রথম প্রকাশ ১৩৩৩ ব.; ৩. একবিংশ-শতাব্দী-নারী-চরিতম, কথা ও ছবি : বিনয়কুমার বসু, প্রকাশ ১৩৩৪ ব.।

    সাম্প্রতিক কালে নারী-আন্দোলনের একটা বিষয় হল, যে-সকল চিহ্ন দিয়ে নারীদের আলাদা করে রাখা হয়, সরিয়ে রাখা হয়, অন্ত্যজ করে রাখা হয়, প্রান্তে রাখা হয়, সেই সকল চিহ্নকে অস্বীকার করা। চিহ্নের মাধ্যমে যে আলাদা করা, চিহ্নকে যে ক্ষমতার হাতিয়ার হিসাবে দেখানো, তার প্রতিবাদ করা। এই বইয়ের তিনটি চিত্রকথায় সেই চিহ্নের কথা, পুরুষ-নির্ধারিত নারীচিহ্নকে অস্বীকার করা, পরিত্যাগ করার কথা আছে। পুরুষ-নির্ধারিত পুরুষচিহ্নে নারীদের অংশগ্রহণ করা ও সেই সব চিহ্নক্ষেত্র দখল করার কথা আছে। কথা আছে নারী-পুরুষ-বিভক্ত পরিসরকে পালটে দেওয়ার । এই সময়ে এই সংকলন তৈরি করার বলা যায়, এটাই প্রধান কৈফিয়ত।

     220.00
  • সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর
    ফ্যাসিজম

    সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা এই বই বাংলা ভাষায় লিখিত, মুদ্রিত ও প্রকাশিত প্রথম ফ্যাসিবিরোধী বই। ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত হলেও এর প্রস্তুতি চলেছিল ইতালিতে সৌম্যেন্দ্রনাথের বসবাসকালে। সোভিয়েত রাশিয়ার পর তাঁর রাজনৈতিক কাজকর্মের মূল কেন্দ্র ছিল জার্মানি। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি ইতালির আল্পস ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের স্যানাটরিয়ামে চিকিৎসার জন্য আসেন ১৯৩১ সালের শেষার্ধে। ইতালিতে তখন ঘোর ফ্যাসিস্ট যুগ। ফ্যাসিস্ট তত্ত্ব ও প্রয়োগের অনুসন্ধানে ব্যাপৃত হয়ে তার ফাঁকির দিকটা বুঝে নিতে তাঁর দেরি হয়নি।

    মার্কসবাদী দৃষ্টিতে নিটোল যুক্তিতে ফ্যাসিস্ট তত্ত্বকে খণ্ডন করার সূত্রে এ বই আজ ঐতিহাসিক দলিল।

    আমাদের দুর্ভাগ্য যে এ বইয়ের পুনঃপ্রকাশ ও পুনঃপাঠ বারে-বারেই জরুরি হয়ে পড়ে।

     220.00
  • সুহৃদকুমার ভৌমিক
    বাঙলা ভাষার গঠন

    ভাষার দুটি ভাগ, গদ্য ও পদ্য— এবং এ দুটিই বিশেষ শক্তিশালী একটি আদিবাসী ভাষার আদলে তৈরি হয়েছে। আচার্য সুনীতিকুমার বহু পূর্বেই বলেছিলেন, ‘‘বাংলাভাষাটা যে অনার্য্য ভাষার ছাঁচে ঢালা আর্য্য ভাষা, সেটাও ক্রমে ক্রমে লোকে মানবে— আর্য্যামি যত দিন বাধা দিতে থাকবে, তত দিন বাংলার ঠিক স্বরূপটি আমাদের বের করা কঠিন হবে”। কিন্তু এই স্বরূপটি জানার আগে যাঁরা প্রাথমিক স্তরে বাঙলা ভাষা গঠনে যুক্ত হয়েছিলেন অর্থাৎ বাঙালির পূর্বপুরুষ কারা ছিলেন, তা জানতে হবে। কারণ বাঙলার প্রকৃত জনগোষ্ঠীকে না জেনে তাদের তৈরি ভাষাকে জানার কোন অর্থই হয় না। আমাদের পূর্বপুরুষ কারা ছিলেন আর কাদের রক্তই বা আমাদের ধমনীতে প্রবাহিত। মাত্র এক হাজার বছর আগে চর্যাপদের পূর্বে বাঙলা ভাষাই ছিল না। তার আগে কী ভাষায় বা এখানকার মানুষ কথা বলত?

    এই বইয়ে সংকলিত বিবিধ প্রবন্ধে বহুদর্শী লেখক নৃতত্ত্ব, ইতিহাস, সমাজতত্ত্ব এবং ভাষাতত্ত্বের সাম্প্রতিক গবেষণার আলোয় বাঙলা ভাষার গঠন নিয়ে একেবারে অনন্য এক ভাবনার সূত্রপাত ঘটিয়েছেন। বাঙলা ভাষা নিয়ে ভাবিত পাঠকের এ বই অবশ্যপাঠ্য।

     

     

     220.00
  • আপনাকে বলছি স্যার
    বারবিয়ানা স্কুল থেকে

    ভূমিকা ও ভাষান্তর : সলিল বিশ্বাস 

    ইতালির টাসকানি প্রদেশে মুজেল্লো অঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় গোটা-কুড়ি খামার নিয়ে গঠিত একটি জনবসতি— বারবিয়ানা। জায়গাটা রুক্ষ অথচ সুন্দর। ছোট্ট একটি গির্জা আছে এখানে। ১৯৫৪ সালে পাদ্রি দন লোরেনজো মিলানি আসেন গির্জাটির ভারপ্রাপ্ত হয়ে। বারবিয়ানাতে এসে লোরেনজো মিলানি দেখলেন এ অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জগৎ বলতে প্রায় কিছুই নেই। বেশির ভাগ ছেলেমেয়েই হয় পরীক্ষায় ফেল করে স্কুল ছেড়ে দিয়েছে, অথবা যেভাবে স্কুলে শিক্ষাদান করা হয় সে বিষয়ে তাদের তিক্ততার শেষ নেই। মিলানি জড়ো করলেন দশটি ছেলেকে— এগারো থেকে তেরো বছর তাদের বয়স। তাদের দৈনন্দিন জীবনের বাস্তব সমস্যাবলি নিয়ে অনুশীলন আর সে-সব সমস্যার ভিতরে ঢোকার চেষ্টায় কাটত অনেকটা সময়। এই কাজের মধ্য দিয়ে এক বছর সময় ধরে বিশেষ একটা পরিকল্পনার রূপায়ণ হিসাবে এই স্কুলের আট জন ছাত্র ‘আপনাকে বলছি স্যার’ (Letter to a Teacher) বইটি লিখেছিল।

    দরিদ্র, গ্রাম্য স্কুলের ছেলেদের লেখা এই বই ‘আপনাকে বলছি স্যার’ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন মানুষের জীবনে আশ্চর্য পরিবর্তন এনে দিয়েছে। প্রায় সব দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বিত্ততোষণ আর মধ্যবিত্ত মানসিকতা সৃষ্টির প্রক্রিয়ার উপর এই বইয়ের সরাসরি আক্রমণই দেশে-দেশে এই বইয়ের জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ। এই বইয়ের ‘আমি’ আটজন তরুণ লেখকের সম্মিলিত ব্যক্তিত্ব, আর ‘আপনি’ হলেন তাদের পরিচিত সকল শিক্ষক।

     260.00
  • সংবাদ-চিত্রকর চিত্তপ্রসাদ

    গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : শুভেন্দু দাশগুপ্ত

    এই বইটা চিত্তপ্রসাদকে নিয়ে, চিত্তপ্রসাদের আঁকা বিশেষ ধরনের ছবি নিয়ে। ১৯৪০-এর দশক। চিত্তপ্রসাদ তখন কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার সদস্য। পার্টি-কর্মী চিত্তপ্রসাদ কমিউনিস্ট পার্টির ইংরাজি ভাষায় প্রকাশিত পত্রিকা প্রথমে পিপলস ওয়র, পরে নাম বদলিয়ে পিপলস এজ-এ ছবি আঁকছেন। প্রতিবেদন লিখছেন। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য চিত্তপ্রসাদ পার্টির কাগজের চিত্রকর, প্রতিবেদক-চিত্রকর। এই বইটা সেই সংবাদ-চিত্রকর চিত্তপ্রসাদকে নিয়ে।

    চিত্তপ্রসাদ ছবিকে, চিত্রশিল্পকে কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতিকতা, রাজনীতিক আন্দোলন, রাজনীতিক প্রতিরোধের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছেন। চিত্তপ্রসাদের ছবি রাজনৈতিক। এবং এই প্রত্যেকটি ছবি ও লেখার একটা রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পটভূমি রয়েছে। তার যতটা সম্ভব, এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ছবিগুলির কয়েকটি নানা বইতে রয়েছে। বেশির ভাগই নেই। সেদিক থেকে ভাবলে বেশির ভাগ পাঠক এই সব ছবি এই প্রথম দেখবেন।

    কমিউনিস্ট পার্টির কাগজে ছাপা লেখাগুলি তো কমিউনিস্ট ভাবনার ইতিহাস— কখন, কোন্‌ সময়ে, কী বিষয়ে, কেন, কমিউনিস্ট পার্টি এমন ভেবেছে, লিখেছে, জানিয়েছে। লেখার পাশে ছবিও ইতিহাস আঁকে। ইতিহাস ব্যাখ্যা করে অন্য এক ভাষায়, অন্য এক ধরনে। চিত্তপ্রসাদ ছবি এঁকে সেই ইতিহাসের কোথাও সহকারী, কোথাও স্বাধীন রচয়িতা। সেই ইতিহাস চিত্তপ্রসাদ যেভাবে দেখেছেন, অনুভবে, ব্যাখ্যায়, পার্টির রাজনীতিক ধারণায়, নিজের রাজনীতিকতায়, শিল্পীসত্তায়, তা-ই এঁকে রেখেছেন পত্রিকার পাতায়, যা এখন ইতিহাসের মহাফেজখানায়।

    এ-ও এক ধরনের চিত্রপ্রদর্শনী। বিষয় যে-ভাবে আছে সে-ভাবে নয়, যে-ভাবে বিষয়কে দেখাতে চাওয়া, সে-ভাবে আঁকা। বাস্তবে যে-ভাবে এল, আছে, আসছে, আসবে, শুধু সে-ভাবেই নয়, বাস্তব যেমন হওয়াতে চায় শিল্পী সেই ভাবে।

    বইপত্তর (পশ্চিমবঙ্গ) ও নোকতা (বাংলাদেশ) যৌথ প্রকাশনা

     525.00
  • মলয় রায়
    বাঙালির বেশবাস : বিবর্তনের রূপরেখা

    বাংলার প্রাচীন ও মধ্য যুগের পুঁথি, মন্দির-সংলগ্ন ফলক আর ভাস্কর্য, লৌকিক পট, কাঠখোদাই আর তেলরঙের ছবি, আধুনিক আলোকচিত্র এবং বিভিন্ন বই আর সাময়িকপত্রে বাঙালির বেশবাস-সংক্রান্ত অসম্বদ্ধ ভাবে ছড়িয়ে থাকা অজস্র তথ্যের ভেতর থেকে প্রাসঙ্গিক তথ্য সংকলন, নির্বাচন, বিশ্লেষণ আর কালানুক্রমিক ভাবে তা বিন্যস্ত করে এবং সাধ্যমতো তার চিত্রিত নথি পেশ করে বাঙালির বেশবাসে বিবর্তনের সুদীর্ঘ ধারাকে পূর্ণাঙ্গ এই গ্রন্থে বিবৃত করেছেন লেখক।

    বাংলা বা অন্য কোন ভাষায় বাঙালির বেশবাস সম্পর্কে এমন আলোচনার যথেষ্ট অভাব রয়েছে, আর সে-অভাব যে এই বইতে অনেকটাই পূরণ করেছেন তিনি, এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

     350.00
  • শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়
    উদরপুরাণ এবং অন্যান্য বৈঠকি গল্প  

    পটলডাঙায় চাটুজ্জেদের রোয়াক থেকে বাহাত্তর নম্বর বনমালী নস্কর লেন হয়ে তা-বড়ো বাবু ও বিবির বৈঠকখানায়-মজলিশে-আসরে-বাসরে যে-অফুরান আড্ডা-সংস্কৃতি বজায় রেখেছে বাঙালি, তার কোন ইতিহাস লেখা হয়নি আজও। আড্ডা-সাহিত্য বলে আমাদের তেমন কিছু নেই। যা আছে, তা হল বহু প্রজন্ম ধরে বয়ে চলা অজস্র গালগপ্পো। গালগপ্পোর সঙ্গে আড্ডার সম্পর্ক দু-ভাবে : এক ধরনের গালগপ্পো আড্ডাজাত, আড্ডা ছাড়া আর কোন কারখানা থেকেই তা উৎপন্ন করা যাবে না; আর-এক ধরনের গালগপ্পো আড্ডা-উপযোগী, অর্থাৎ যা জুতসই ভাবে পরিবেশিত হলে যে-কোন আড্ডাই জমে উঠতে বাধ্য। এরকমই কিছু গালগপ্পো করা হয়েছে এখানে, যাকে আমরা ‘বৈঠকি গল্প’ বলা সংগত মনে করেছি। বাঙালির আড্ডার ‘হেভি ইন্ডাস্ট্রি’ এককালে যে-সব রথী-মহারথীর সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল, তাঁদের বেশির ভাগই নেই আজ। কিন্তু যাঁরা নিদেনপক্ষে কুটিরশিল্প চালাতে উৎসাহী, তাঁদের এসব রসদ কিছু পরিমাণে কাজে লাগবে বলে আশা করা যায়।

    প্রথম সংস্করণ, ২১৬ পৃষ্ঠা

     280.00
  • সৌমিত্র ঘোষ
    বনজঙ্গল ও অন্যান্য

    প্রতি নিসর্গের ইতিহাস থাকে। সে ইতিহাস একদিকে যেমন কোন এক নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের, তার প্রকৃতি-পরিবেশের, অন্যদিকে সেই ভূখণ্ডের মানুষ না-মানুষ অধিবাসীদেরও, যারা সেই প্রকৃতি-পরিবেশের অংশ, সময়বিশেষে নির্মাতাও। নিসর্গের ইতিহাস পাঠ করতে গেলে সে কারণে স্মৃতির রহস্যগূঢ় বুনোট সরিয়ে খোঁজ চালাতে হয়। ব্যক্তির স্মৃতি, সমূহের স্মৃতি। থাকার এবং না-থাকার স্মৃতি। স্মৃতি, যা বহুবিধ ধূসর অথবা উজ্জ্বল আখ্যানে রূপান্তরিত, যা একই সঙ্গে দৃশ্য, পাঠ্য, শ্রাব্য ও কথ্য। বর্তমান আখ্যানটি নিতান্তই এক শাদামাটা আখ্যান, যা ব্যক্তি-কথকের শ্যাওলামাখা জট-পাকানো সূত্র ধরে-ধরে পৌঁছতে চাইছে একটি নির্দিষ্ট মানচিত্রবদ্ধ ভূখণ্ডের নিসর্গে, সেই নিসর্গের ইতিহাসে, সেই ইতিহাসের স্মৃতিতে। হিমালয় পাহাড়-লাগোয়া উত্তরবাংলার গ্রাম-শহর-বন-পাহাড়-নদী-মাঠ, গাছপালা-লতাগুল্ম, মানুষী না-মানুষী ছোট-বড় প্রাণী- এ সবই এই আখ্যান তৈরি করে।তৎসহ আর যা-কিছু নিসর্গের ইতিহাস কি ইতিহাসের নিসর্গের অংশ, তা-ও ঘুরে-ফিরে আসে, যথা শাদা-কালো সায়েবদের উপনিবেশ নির্মাণ, শাসন, ক্ষমতা ও আধিপত্যের বিবিধ প্রকাশ, অত্যাচার-নিষ্পেষণ-শোষণ, তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহও।

    এই আখ্যানের কথক অর্ধ-শতকের বেশি সময়কাল ধরে ঐ নিসর্গ-ইতিহাস-স্মৃতির মধ্যে বসবাসরত, সে যা বলে তাতে ইতিহাসের গুঁড়ো আর স্মৃতির আঁশটে গন্ধ লেগে থাকে বটে, তবে খানিক এলোমেলো ভাবে। ফলে গল্প সব সময়ে উত্তরবাংলার চৌহদ্দিতে আটকে থাকে না, গঙ্গা পার হয়ে তা কলকাতা দৌড়য়, আরও এদিক-ওদিক যায়। অবশ্য যেখানেই যেদিকেই যাওয়া হোক, ফিরে আসতেই হয়। শেষত আখ্যানটি তাই চিরকেলে প্রত্যাবর্তনের, না-থাকার প্রত্নমলিন পাণ্ডুলিপি থেকে থাকাকে খুঁড়ে বার করার।

     220.00
  • ডেভিড ম্যাককাচন ও সুহৃদকুমার ভৌমিক
    বাঙলার পট ও পটুয়া

    ‘পটুয়া’ এবং ‘পটিদার’— এই দুটি শব্দই বাঙালির পরিচিত। প্রথমত তা পেশাদার পটশিল্পীকে বোঝায়, সেই সঙ্গে বোঝায় সমগ্র পটুয়া জাতকেও। একজন পটুয়াশিল্পী মূলত পেশাদার শিল্পী। ‘পটুয়া’ ও ‘পটিদার’ শব্দ-দুটি সমার্থক এবং এর মূল উৎস-শব্দ হল ‘পট’। পটের প্রাথমিক অর্থ একটুকরো কাপড়। এই একটুকরো কাপড় বা কাগজেই পুরাণ, মহাকাব্য, মঙ্গলকাব্যের কাহিনি থেকে একেবারে হাল আমলের নানান সামাজিক ঘটনার অভ্রান্ত চিত্ররূপ রচনা করে থাকেন পটুয়ারা।

    বাঙলার পট ও পটুয়াদের নিয়ে এই বইয়ে ডেভিড ম্যাককাচন, সুহৃদকুমার ভৌমিক ও সুধাংশুকুমার রায়ের মতো বিশিষ্টজনেদের লেখা যেমন আছে, তেমনই আছে কয়েক দশক আগে সংগৃহীত পটের গানের এক নির্বাচিত সংকলন। আর আছে প্রাচীন ও নবীন পটের অজস্র রঙিন ও শাদা-কালো ছবি।

     250.00
  • শক্তিনাথ ঝা সম্পাদিত
    বাউল-ফকির পদাবলি ২

    বঙ্গদেশের বৈষ্ণব আন্দোলন একক বৃহত্তম এক ধর্মগোষ্ঠী সৃষ্টি করে এক সমৃদ্ধ সাহিত্যের সূচনা করেছিল। বাঙালি কবিরা প্রায় দশ হাজার বৈষ্ণব পদ রচনা করেছিলেন। কিন্তু বঙ্গের বৈষ্ণব এবং সুফি-পীর নামে চিহ্নিত মানুষজনের এক বৃহদংশ বাউল-ফকির চর্যাচর্য পালন করেন। এই গোষ্ঠীর মহাজনদের লেখা পদের যথাযথ সংকলন হলে দেখা যাবে যে, তাঁদের পদাবলি এবং পদকর্তার সংখ্যা বৈষ্ণব পদ আর পদকর্তাদেরও ছাড়িয়ে যাবে। বঙ্গের এমন কোন জেলা নেই, যেখানে বাউল ও ফকিরি গানের গায়ক ও পদকর্তার সন্ধান মেলে না। বহু বছর ধরে নিঃশব্দে সংগৃহীত এ রকম  সহস্রাধিক পদ প্রকাশিত হয়েছে এই দ্বিতীয় খণ্ডে। সঙ্গে সম্পাদকের দীর্ঘ ভূমিকা, পদকর্তাদের পরিচয় ও আলোকচিত্র এবং প্রতিটি গানের শব্দার্থ ও টীকা। এ খণ্ডের বিশেষ আকর্ষণ বাউল-ফকির মহাজনদের নিজ হাতে লেখা খাতা ও পুথির বহু আলোকচিত্র, যার অনেকটাই এই সংকলন গড়ে ওঠার নেপথ্যে রয়েছে।

     675.00
  • শক্তিনাথ ঝা সম্পাদিত 
    বাউল ফকির পদাবলি ১

    চর্যাপদের আবিষ্কার থেকেই প্রমাণিত হয় যে হাতে লিখে সাধনসঙ্গীতের সংগ্রহ, টীকা, ব্যাখ্যা ইত্যাদি সঞ্চালিত হত। অর্থাৎ তার গীতিরূপের অতিরিক্ত ছিল বিষয়-বস্তুর গুরুত্ব। সাধকেরা আসলে ‘গানে জ্ঞানে’র নির্দেশ দেন। চর্যাপদের সময়কাল থেকেই এ দেশে মহাজনদের পদ সংগ্রহের রীতি গড়ে ওঠে, বৈষ্ণব তাত্ত্বিকরাও উভয় বঙ্গে বৈষ্ণব পদ সংগ্রহের অনন্য দৃষ্টান্ত রেখেছেন। সেই ঐতিহ্য মেনেই এই সংগ্রহ। সংকলক-সম্পাদকের দীর্ঘ ভূমিকা, দুই বঙ্গের প্রায় শতাধিক পদকর্তার বিশদ পরিচয় আর আলোকচিত্র, প্রতিটি গানের শব্দার্থ ও টীকা, এবং পারিভাষিক শব্দকোষ-সহ প্রায় এক সহস্র পদের এই সংকলন। নতুন সংস্করণ।

     725.00
  • সুব্রতকুমার মুখোপাধ্যায়
    ঝাড়গ্রামের লোকসম্পদ ও সংস্কৃতি

    ঝাড়গ্রাম শুধু প্রাকৃতিক সম্পদে নয় লোকসম্পদেও সমৃদ্ধ। এই আরণ্যক প্রস্তরময় ভূখণ্ডে বিভিন্ন জনজাতীয় গোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। আদিবাসী-মূলবাসীদের প্রকৃতি-পূজা, নৃত্যগীত, পাল-পার্বণ, লোকাচার-লোকবিশ্বাস ঝাড়গ্রাম জেলাকে এক অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদের স্বর্ণভাণ্ডারে পরিণত করেছে। দীর্ঘ গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতায় বইটিতে লোক ও আদিবাসী সংস্কৃতিকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে ঝাড়গ্রাম তথা জঙ্গলমহলের ইতিহাস ও বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর বিবরণী যাতে সম্মানীয় পাঠককুল বিন্দুর মাঝে সিন্ধুর আস্বাদ পান।

     225.00
  • ভরত মনসাতা
    প্রাকৃতিক কৃষির দর্শন

    এই বইয়ে ‘প্রাকৃতিক কৃষির গান্ধি’ নামে সুখ্যাত ভাস্কর সাভে তাঁর সাত দশকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় গড়ে-ওঠা জ্ঞান ও প্রত্যয় নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁর কৃষি খামারটি বস্তুত এক খাদ্য-বন, এবং তা শুধু অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের উপভোক্তা নয়; বরং সেখানে সমূহ জল, শক্তি ও উর্বরতার যোগানদার। কিংবদন্তি-প্রতিম প্রাকৃতিক চাষি মাসানোবু ফুকুওকা সাভে-র খামারটিকে ‘দুনিয়ার সেরা’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
    প্রকৃতির মধ্যে অন্যোন্যজীবী সম্পর্কের গভীর উপলব্ধি থেকে জাত ভাস্কর সাভে-র কৃষিপদ্ধতি এবং তার শিক্ষা এ বইয়ে ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে। আর তা করা হয়েছে তাঁর নিজেরই সরল ও মেঠো ভাষায়।
    দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ অর্গানিক এগ্রিকালচার মুভমেন্টস তাঁকে ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড অ্যাওয়ার্ড ফর লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট’ দিয়ে সম্মানিত করেছে। এই পুরস্কারের বিচারকরা তাঁকে ‘জৈব জগতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব’ বলে ঘোষণা করেছেন।

     295.00
  • শক্তিনাথ ঝা
    বাউল-ফকির ধ্বংস-আন্দোলনের ইতিবৃত্ত

    এই বইয়ের পূর্ববর্তী সংস্করণ ২০০১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। তার বহু আগে থেকেই ধর্মীয় নিপীড়ন নিয়ে নানা লেখা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৯৭ সালে বাউল-ফকিরবিরোধী লেখা এবং তথ্যাদি প্রথম গ্রন্থভুক্ত পায়। নানা সাংবাদিক, প্রতিবেদক এবং অত্যাচারিতদের লেখা সেখানে সংকলিত হয়েছিল। সে গ্রন্থ নিঃশেষিত হওয়ায় তার পুনর্মুদ্রণ চাইছিলেন অনেকে। পরিবর্ধিত এবং পরিমার্জিত বর্তমান সংস্করণের পঞ্চম অধ্যায়ে পরবর্তী কালের ঘটনা ও তথ্য বর্ণিত হয়েছে। বাউল-ফকির সংঘের সক্রিয় সহযোগিতায় রীতিমতো ক্ষেত্রসমীক্ষা এবং তদন্ত করে সত্যাসত্য যাচাইয়ের পরই এখানে নিপীড়নের ঘটনাগুলি তুলে ধরা হয়েছে। অত্যাচারিতের আবেদন এবং ক্ষেত্রসমীক্ষা-লব্ধ তথ্যের সাহায্যে এ গ্রন্থ রচিত হয়েছে। মধ্যবঙ্গের আঞ্চলিক ইতিহাসের নানা অজানা তথ্য উঠে এসেছে এই বিবরণীতে। ধর্ম-সংস্কৃতির লড়াই সমাজেরই দ্বন্দ্ব-সংঘাতের অন্য এক নাম। নিপীড়নের এই সমস্ত তথ্যে অত্যাচারিতদের অশ্রুজল আর রক্তের দাগ লেগে আছে।

     400.00
Shop
Filters
0 Wishlist
0 Cart