Customize Consent Preferences

We use cookies to help you navigate efficiently and perform certain functions. You will find detailed information about all cookies under each consent category below.

The cookies that are categorized as "Necessary" are stored on your browser as they are essential for enabling the basic functionalities of the site. ... 

Always Active

Necessary cookies are required to enable the basic features of this site, such as providing secure log-in or adjusting your consent preferences. These cookies do not store any personally identifiable data.

Brands

Sort By: Sort by latest
View: 16
  • সুব্রতকুমার মুখোপাধ্যায়।। সুশীলকুমার বর্মন
    ঝাড়গ্রাম জেলা প্রত্ন পরিক্রমা

    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পশ্চিমাংশে অবস্থিত ঝাড়গ্রাম মহকুমাকে ঝাড়গ্রাম জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল। ছোটনাগপুর মালভূমির অবক্ষয়িত প্রান্তভাগ এই অঞ্চল ছিল প্রাগৈতিহাসিক মানবের  চারণভূমি। মানবসভ্যতার আদি কাল থেকে আধুনিক কালে বিবর্তনের চিহ্নসমূহ সুস্পষ্ট ভাবে অঙ্কিত হয়ে রয়েছে  ঝাড়গ্রাম জেলার প্রতিটি ধূলিকণায়। যুগে-যুগে বহু ধর্মগুরু ধর্মপ্রচারে আবির্ভূত হয়েছেন জঙ্গলাকীর্ণ এই রাঢ়ভূমিতে। বহু সহস্র বছরের প্রাচীন আদিবাসী ধর্মচর্চার সমান্তরালে কখনও জৈন, কখনও বৌদ্ধ, কখনও আবার বৈষ্ণব ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটেছে কঙ্করময় এই লোহিত-মৃত্তিকায়। কিন্তু আদিবাসী সংস্কৃতি ব্যতীত অন্য কোন সংস্কৃতিই এখানে স্থায়ী আসন বিস্তার করতে পারেনি। বিভিন্ন ধর্মচর্চার নিদর্শনগুলি কিন্তু থেকে গেছে ঝাড়গ্রাম জেলার আনাচকানাচে। এই জেলার পথে-ঘাটে-প্রান্তরে, বিশেষত কাঁসাই, তারাফেনি, ভৈরববাঁকি, সুবর্ণরেখা, ডুলুং, পলপলার অববাহিকায় ছড়িয়ে রয়েছে হাজার-হাজার প্রত্ন-নিদর্শন যার অধিকাংশই এ পর্যন্ত অনালোচিত বা স্বল্পালোচিত। ঝাড়গ্রাম জেলার পাহাড়-মালভূমি, গুহাকন্দর, বনজঙ্গলে নিবিড় অনুসন্ধান ও সমীক্ষায় প্রাপ্ত মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশ, জমিদার-রাজাদের ইতিবৃত্ত ও ধর্ম-সংস্কৃতি বিষয়ক পুরাতাত্ত্বিক বিবরণ ও বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে ‘ঝাড়গ্রাম জেলা প্রত্ন-পরিক্রমা’ বইটিতে। বইটি শুধু প্রত্ন-পরিক্রমা নয়, ঝাড়গ্রাম জেলা ও পার্শ্বস্থ এলাকার আঞ্চলিক ইতিহাস পরিক্রমার চাহিদাও অনেকাংশে পূরণ করবে।

     400.00
  • থিয়েটারের কথা

    ইবসেন থেকে এমিল জোলা হয়ে অগাস্ট স্ট্রিন্ডবার্গ, বার্নার্ড শ ও জন গলসওয়ার্দি, তারপর ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকা, জঁ-পল সার্ত্র, ফ্রিডরিক ড্যুরেনমাট হয়ে বের্টোল্ট ব্রেখট— স্বনামধন্য ন-জন নাট্যকার ও নাট্য-পরিচালকের থিয়েটার নিয়ে বিভিন্ন সময়ে লেখা এক গুচ্ছ নিবন্ধের সংকলন। এই সামান্য কয়েকটি লেখাতেই উনিশ শতকের শেষ থেকে বিশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত নাটক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নানান তত্ত্ব ও তর্ক জীবন্ত হয়ে উঠে এসেছে।

     40.00
  • একটি পোস্টার ওয়ার্কশপ প্রযোজনা
    পোস্টার ২০২০

    পোস্টারকে শিল্পকলার ইতিহাস পাত্তা দেয় না। তাতে কী? সে মাঠে-ঘাটে-দেওয়ালে-রাস্তাতেই খুশি। মিছিলে-শ্লোগানে-ঘোষণায়-প্রতিবাদে শামিল হয়ে সে দিব্যি আনন্দে আছে। এমনি আনন্দে থাকা একদল মানুষ, একদল শিল্পী-মানুষ রং-তুলি-কাগজ নিয়ে মাঝে-মাঝে জড়ো হন পোস্টার আঁকতে। নাকি পোস্টার লিখতে? এ নিয়ে তর্ক ওঠে চিনি-ছাড়া কালো চায়ের কাপে। কোন-কোন দিন কথা ওঠে— ‘এইবার আমাদের একটা নাম দেওয়া যাক।’ কিন্তু শেষমেশ এই ‘পোস্টার ওয়ার্কশপ’ নামটাই থেকে যায়। পোস্টার নিয়ে আলোচনার বিরতিতে কথা ওঠে একদিন একসাথে বসে পোস্টার করার। তারপর অনেক বার নিজেরা বসে পোস্টার করা ছাড়াও আমরা পোস্টার নিয়ে গেছি উত্তরপাড়া, কাঁচরাপাড়ায়। পোস্টার টাঙানো হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বইমেলায় বন্ধুদের দোকানে থেকেছে পোস্টার আর আঁকার সরঞ্জাম। আমরা পোস্টার এঁকেছি গড়িয়াহাট ব্রিজের তলায়। সঙ্গী হয়েছি পার্ক সার্কাসের এনআরসি-বিরোধী আন্দোলনে— সেখানে মহা-উৎসাহে আন্দোলনকারীরা আমাদের সঙ্গে এঁকেছেন— মুহূর্তে সেই পোস্টার বদলে গেছে শ্লোগানে। একাধিক বার পোস্টার দেখানোর আয়োজন হয়েছে— নানা মানুষ সেখানে এসেছেন, দেখেছেন, মতামত দিয়েছেন।

    এই সব অগুনতি পোস্টার থেকে কিছু পোস্টার নিয়ে এই বই— যেটুকুর ছবি তোলা ছিল। কিছু পোস্টার রোদে পুড়ে জলে ভিজে হাতে-হাতে ছিঁড়ে গেছে— তাদের ছবি নেই। কিন্তু তাদের পোস্টার-জন্ম সার্থক হয়েছে।

     50.00
  • দীপংকর লাহিড়ী
    শাশ্বত : মহাভারতের পুনর্পাঠ

    মহাভারত এক বহুমাত্রিক মহাকাব্য। পাশ্চাত্যের গবেষকদের মতে ‘সুপার এপিক’, আমরা যার বাংলা করতে পারি অতিমহাকাব্য। তাঁদের দর্শানো কারণ মহাভারতের ব্যাপ্তি, আয়তনে যা ইয়োরোপীয় দুই মহাকাব্যের মিলিত আয়তনের আট গুণ। কিন্তু মহাভারতের কালের ব্যাপ্তি সম্বন্ধে গবেষকরা বিশেষ কিছু ভাবেননি। মহাভারত মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশেরও এক বাচিক দলিল। ভূবিদ্যার একটি শাখার অনুসন্ধানের পদ্ধতি অনুসরণ করে বর্তমান গ্রন্থ তার কালক্রমিক মাত্রা উন্মোচনের গবেষণামূলক প্রচেষ্টা। তাই এখানে এসেছে কাল-ক্রমিক বিবর্তনের ধারায় গণ থেকে জন, মাতৃতন্ত্র থেকে পিতৃতন্ত্র, সভ্যতার স্তরক্রম, রাজনীতি থেকে অর্থশাস্ত্র, সমরনীতি, সমাজের উন্নতি ও অবক্ষয়, যার আলোচনা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে ইয়োরোপ, মিশর, মধ্য প্রাচ্য ও ভারতের নথিবদ্ধ ইতিহাসের ভিত্তিতে। বহুদর্শী লেখকের এ এমন এক বই, যা বহু দিন ধরে পাঠকের নিত্যসঙ্গী হয়ে থাকবে।

     300.00
  • সুহৃদকুমার ভৌমিক
    ঝাড়খণ্ডে মহাপ্রভু

    ঝাড়খণ্ড নামটি নূতন নয়। চৈতন্য মহাপ্রভুর সময়ে এই অঞ্চল এই নামেই পরিচিত ছিল। ২৩শ জৈন তীর্থঙ্কর পাশ্বর্ণনাথ পাহাড়ে নির্বাণ লাভ করেন। ২৪শ জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীর বা বর্ধমানস্বামী জৈন ধর্ম প্রচারকল্পে শিষ্যবৃন্দ-সহ বারো বছর ‘লাড়া’ বা ‘রাঢ়’ভূমিতে ভ্রমণ করেছিলেন। ৫৪৭-সংখ্যক বিশ্বম্ভর জাতকের কাহিনী অনুসারে ভগবান বুদ্ধ পূর্বজন্মে বঙ্কুগিরি পাহাড়ে তপস্যারত অবস্থায় মারা যান। বঙ্কুগিরি বর্তমান বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়। বুদ্ধদেব বোধিলাভের পর এই পাহাড়ে এসেছিলেন। জনশ্রুতি যে রাঁচি জিলার নির্জন জনহা জলপ্রপাতের এক গুহায় গৌতম বুদ্ধ কিছুদিন তপস্যা করেছিলেন। ভগবান বুদ্ধের বহু কাল পরে শ্রীচৈতন্যও তাঁর ধর্মপ্রচারের ক্ষেত্র হিসাবে রাঢ়ভূমি তথা ঝাড়খণ্ডকে গ্রহণ করেছিলেন। কেন মহাপ্রভু অবহেলিত আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডে প্রেমধর্ম প্রচারের জন্য এসেছিলেন, কী তার পটভূমি আর তাঁর প্রভাবই বা কত স্থায়ী হয়েছিল– তারই ঐতিহাসিক ও তুলনামূলক আলোচনা এই গ্রন্থের বিষয়।

     70.00
  • উনিশশো আটষট্টির ফ্রান্স : মে-দিনের ছাত্রবিপ্লব
    ইস্তাহার গ্রাফিতি ইতিহাস

    দেওয়ালের লেখা, কথা, শ্লোগান… নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই তা রচিত হয়, বিপদের বার্তাই তা বহন করে গর্ভে, আতঙ্কের পরিবেশে ঠাঁই পায় লোক-হৃদয়ে। তারপর পথচলতি লোকজনের ছন্দেই তা চলতে শুরু করে, এক হাত থেকে অন্য হাত, বারে-বারেই সে সব ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন পড়ে। উনিশশো আটষট্টির ফ্রান্সে, ছাত্রবিপ্লবের সেই মে-দিনে রাজনৈতিক কার্যক্রমের অনুপ্রাণিত ভাষ্য সম্পূর্ণত ঝরে পড়েছিল দেওয়ালে-প্রাচীরে। সময়ের জরুরি তাগিদ আর তৎপরতার স্নায়ুস্পন্দনে রাঙানো তেমন সব দেওয়াল-লেখা, গ্রাফিতি, পোস্টার, ইস্তাহার, আর ইতিহাস নিয়ে এই সচিত্র সংকলন। সন্দীপন ভট্টাচার্য সম্পাদিত।

     

     50.00
  • সন্দীপ মুখোপাধ্যায়
    জঙ্গলমহলের জার্নাল

    এই জার্নালের লেখক পুরুলিয়া জেলায় নাবার্ড-এর অ্যাঙ্কর এনজিও-র একজন ব্লক সুপারভাইজার হিসাবে ২০১২ সালে পুরুলিয়ায় প্রথম পা রাখেন। তারপর গোটা প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর হিসাবে পুরুলিয়ার বহু গ্রামে বহু বার যাওয়া-আসা করেছেন। আর সেই সূত্রে খুব কাছ থেকে, বলা যেতে পারে, একেবারে নিচুতলা থেকে দেখেছেন জঙ্গলমহলকে। স্বনির্ভর দলের চশমায় জঙ্গলমহলের খিদে, অনুন্নয়ন, অপুষ্টি, পিছিয়ে থাকা (রাখা), তার গর্ব, অভিমান, তার ঠকে যাওয়া আর হেরে যাওয়ার ইতিহাস, তার বেঁচে থাকা আর টিকে থাকার গল্প– ইত্যাদি প্রায় স-ব। সন্ত্রাস আর নৈরাজ্যের দিনগুলি পেরিয়ে এক গ্রাম থেকে আর-একটা গ্রাম, এক গুচ্ছ জীবন থেকে আর-এক গুচ্ছ জীবন, একটা ইতিহাস থেকে আর-একটা ইতিহাসের দিকে যেতে-যেতে তাঁর এই দু’ বছরের জার্নি-র গায়ে লেগে আছে জঙ্গলমহলের গাঁ-গেরাম থেকে উঠে-আসা ধুলোমাটি, আর তার স্যাঁতসেতে উন্নয়নের গন্ধ।

     60.00
  • দীপংকর লাহিড়ী
    শাশ্বত : মহাভারতের পুনর্পাঠ

    মহাভারত এক বহুমাত্রিক মহাকাব্য। পাশ্চাত্যের গবেষকদের মতে ‘সুপার এপিক’, আমরা যার বাংলা করতে পারি অতিমহাকাব্য। তাঁদের দর্শানো কারণ মহাভারতের ব্যাপ্তি, আয়তনে যা ইয়োরোপীয় দুই মহাকাব্যের মিলিত আয়তনের আট গুণ। কিন্তু মহাভারতের কালের ব্যাপ্তি সম্বন্ধে গবেষকরা বিশেষ কিছু ভাবেননি। মহাভারত মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশেরও এক বাচিক দলিল। ভূবিদ্যার একটি শাখার অনুসন্ধানের পদ্ধতি অনুসরণ করে বর্তমান গ্রন্থ তার কালক্রমিক মাত্রা উন্মোচনের গবেষণামূলক প্রচেষ্টা। তাই এখানে এসেছে কাল-ক্রমিক বিবর্তনের ধারায় গণ থেকে জন, মাতৃতন্ত্র থেকে পিতৃতন্ত্র, সভ্যতার স্তরক্রম, রাজনীতি থেকে অর্থশাস্ত্র, সমরনীতি, সমাজের উন্নতি ও অবক্ষয়, যার আলোচনা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে ইয়োরোপ, মিশর, মধ্য প্রাচ্য ও ভারতের নথিবদ্ধ ইতিহাসের ভিত্তিতে। বহুদর্শী লেখকের এ এমন এক বই, যা বহু দিন ধরে পাঠকের নিত্যসঙ্গী হয়ে থাকবে।

     100.00
  • সুপর্ণা লাহিড়ী বড়ুয়া
    বদলে যাচ্ছে খাসি মায়েদের গল্প 

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট পাহাড়ি দেশ মেঘালয় – মেঘেদের বাড়ি। তিনটে পাহাড় দিয়ে ঘেরা এই দেশ – খাসি-গারো-জয়ন্তিয়া। মূল অধিবাসীরাও খাসি-গারো আর জয়ন্তিয়া জনজাতির। মেঘালয়ের সমস্ত জনজাতির সমাজই মাতৃপ্রধান, মায়ের বংশ-পরিচয়েই সেখানে সন্তানের পরিচয়। মায়েরাই মূলত বহন করে সন্তানের দায়িত্ব। পিতৃতান্ত্রিক পরিকাঠামোর বিপরীতে এই যে মাতৃপ্রাধান্যের সমাজ – কেমন সেই সমাজ? এ কথা জানার আগ্রহে এই বইয়ে আপাতত খাসি জনজাতির সমাজকে বেছে নিয়েছেন লেখিকা। গত কয়েক বছর ধরে এ জন্য তিনি খাসি লোককথা, গল্প, কবিতা, মেঘালয় থেকে প্রকাশিত খাসি খবরের কাগজ, পত্রপত্রিকা ইত্যাদি পড়েছেন; বারংবার মেঘালয়ে গেছেন, প্রত্যন্ত সব এলাকায় পাড়ি দিয়েছেন; সেখানকার মিউজিয়াম, বাজার, বইয়ের দোকানে গেছেন; খাসি সমাজের মানুষ, বিশেষত মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করেছেন। এ বই তার ফসল। অতীত থেকে বর্তমান, খাসি সমাজের এক সার্বিক পরিচয় ধরা থাকল এই বইতে।

     100.00
  • সুহৃদকুমার ভৌমিক
    ঝাড়খণ্ডে মহাপ্রভু

    ঝাড়খণ্ড নামটি নূতন নয়। চৈতন্য মহাপ্রভুর সময়ে এই অঞ্চল এই নামেই পরিচিত ছিল। ২৩শ জৈন তীর্থঙ্কর পাশ্বর্ণনাথ পাহাড়ে নির্বাণ লাভ করেন। ২৪শ জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীর বা বর্ধমানস্বামী জৈন ধর্ম প্রচারকল্পে শিষ্যবৃন্দ-সহ বারো বছর ‘লাড়া’ বা ‘রাঢ়’ভূমিতে ভ্রমণ করেছিলেন। ৫৪৭-সংখ্যক বিশ্বম্ভর জাতকের কাহিনী অনুসারে ভগবান বুদ্ধ পূর্বজন্মে বঙ্কুগিরি পাহাড়ে তপস্যারত অবস্থায় মারা যান। বঙ্কুগিরি বর্তমান বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়। বুদ্ধদেব বোধিলাভের পর এই পাহাড়ে এসেছিলেন। জনশ্রুতি যে রাঁচি জিলার নির্জন জনহা জলপ্রপাতের এক গুহায় গৌতম বুদ্ধ কিছুদিন তপস্যা করেছিলেন। ভগবান বুদ্ধের বহু কাল পরে শ্রীচৈতন্যও তাঁর ধর্মপ্রচারের ক্ষেত্র হিসাবে রাঢ়ভূমি তথা ঝাড়খণ্ডকে গ্রহণ করেছিলেন। কেন মহাপ্রভু অবহেলিত আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডে প্রেমধর্ম প্রচারের জন্য এসেছিলেন, কী তার পটভূমি আর তাঁর প্রভাবই বা কত স্থায়ী হয়েছিল– তারই ঐতিহাসিক ও তুলনামূলক আলোচনা এই গ্রন্থের বিষয়।

     160.00
  • শ্রীগিরিশচন্দ্র বেদান্ততীর্থ
    বঙ্গে দুর্গোৎসব

    ১৩৩৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত এই পুস্তকের নিবেদন অংশে গিরিশচন্দ্র বেদান্ততীর্থ লিখেছিলেন, “বাঙ্গালী পাঠকপাঠিকাগণ ইহা পাঠ করিয়া দুর্গাপূজা–রহস্য ও বাঙ্গালীর পুরাতন অবস্থা কিয়ৎপরিমাণে পরিজ্ঞাত হইলেও স্বকীয় পরিশ্রম… সফল মনে করিব।”

    গিরিশচন্দ্রের জন্ম ময়মনসিংহে। অধ্যাপনা করেছেন রাজশাহীর রানি হেমন্তকুমারী সংস্কৃত কলেজে। রাজশাহীর বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। এই পুস্তকে তিনি মহিষাসুরের জন্মবৃত্তান্ত, কাত্যায়নী নাম-নিরুক্তি, মহিষাসুরের স্বপ্নবৃত্তান্ত, ব্রহ্মশাপবৃত্তান্ত, দেবীর বর্ণ, মৃন্ময়ী মূর্ত্তিতে দুর্গাপূজা, বিসর্জ্জন, দেবীপুরাণ ও কালিকাপুরাণ, দুর্গোৎসবের কাল, নবদুর্গা, পদ্ধতিবিবরণ, দুর্গারহস্য ইত্যাদি বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

    তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থ : কৌলীন্যমার্গ রহস্য, সরস্বতী তন্ত্র, প্রাচীন শিল্প পরিচয়। সম্পাদনা করেছেন : পুরুষোত্তম ভাষাবৃত্তি, তারাতন্ত্র, কুলচূড়ামণিতন্ত্র ইত্যাদি। ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’তে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নানা প্রবন্ধ।

    প্রথম বইপত্তর সংস্করণ, ৬৪ পৃষ্ঠা

     100.00
  • সুহৃদকুমার ভৌমিক
    ঝাড়খণ্ডের ডায়েরি 

    অধ্যাপক সুহৃদকুমার ভৌমিক (জন্ম ১৯৪০) প্রায় পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতের প্রাচীনতম নরগোষ্ঠী সাঁওতাল, কোল, মুণ্ডা প্রভৃতির সংস্কৃতির উপর কাজ করছেন। তাঁর মতে, বাঙলা ভাষা ও সংস্কৃতি মূলত দাঁড়িয়ে আছে এই সমস্ত আদিবাসী গোষ্ঠীর ভাষা ও ধারণার উপর। বাঙালির উচ্চারণ ও ছন্দ এবং ভাব বিনিময়ের জন্য গদ্যের ভঙ্গি, উভয়ই তৈরি হয়েছিল খেরোয়াল অর্থাৎ সাঁওতাল প্রমুখ মানুষের দ্বারা – এই কেন্দ্রীয় ধারণা তিনি প্রকাশিত বহু রচনায় বিশদ করেছেন। তাঁর রচিত বহু বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বই ও প্রবন্ধের সংকলন ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে মনফকিরা। সাম্প্রতিক এই বইয়ে রয়েছে বিশেষ করে ঝাড়খণ্ড অঞ্চলে লেখকের গবেষণাসূত্রে পরিভ্রমণের ফলস্বরূপ নানা স্বাদের কয়েকটি রচনা। তার মধ্যে তাঁর রাঁচি ভ্রমণের স্মৃতিও যেমন আছে, তেমনই আছে বিহারের টুসু উৎসব নিয়ে তাঁর দীর্ঘ অনুসন্ধানের বিবরণ, তাঁর সাঁওতালি ভাষা চর্চার প্রথম যুগের কথা যেমন আছে, তেমনই আছে ওঁরাওদের কারাম পরবের কথা। সব মিলিয়ে, পাঠকদের এ বই এক অন্য জগতের সন্ধান দেবে বলেই আমাদের ধারণা।

    প্রথম সংস্করণ, ৯৬ পৃষ্ঠা

     150.00
  • সুপর্ণা লাহিড়ী বড়ুয়া
    বদলে যাচ্ছে খাসি মায়েদের গল্প 

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট পাহাড়ি দেশ মেঘালয় – মেঘেদের বাড়ি। তিনটে পাহাড় দিয়ে ঘেরা এই দেশ – খাসি-গারো-জয়ন্তিয়া। মূল অধিবাসীরাও খাসি-গারো আর জয়ন্তিয়া জনজাতির। মেঘালয়ের সমস্ত জনজাতির সমাজই মাতৃপ্রধান, মায়ের বংশ-পরিচয়েই সেখানে সন্তানের পরিচয়। মায়েরাই মূলত বহন করে সন্তানের দায়িত্ব। পিতৃতান্ত্রিক পরিকাঠামোর বিপরীতে এই যে মাতৃপ্রাধান্যের সমাজ – কেমন সেই সমাজ? এ কথা জানার আগ্রহে এই বইয়ে আপাতত খাসি জনজাতির সমাজকে বেছে নিয়েছেন লেখিকা। গত কয়েক বছর ধরে এ জন্য তিনি খাসি লোককথা, গল্প, কবিতা, মেঘালয় থেকে প্রকাশিত খাসি খবরের কাগজ, পত্রপত্রিকা ইত্যাদি পড়েছেন; বারংবার মেঘালয়ে গেছেন, প্রত্যন্ত সব এলাকায় পাড়ি দিয়েছেন; সেখানকার মিউজিয়াম, বাজার, বইয়ের দোকানে গেছেন; খাসি সমাজের মানুষ, বিশেষত মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করেছেন। এ বই তার ফসল। অতীত থেকে বর্তমান, খাসি সমাজের এক সার্বিক পরিচয় ধরা থাকল এই বইতে।

    প্রথম সংস্করণ, ২১২ পৃষ্ঠা

     300.00
  • সুহৃদকুমার ভৌমিক
    শব্দ ও বানান

    শব্দ ও বানান প্রসঙ্গে নামপ্রবন্ধে এ দুটি শব্দের উৎস ও প্রাথমিক অর্থ থেকে লেখক ক্রমে চলে গেছেন ভাষাতত্ত্বের আলোচনায়। এ দেশের বিভিন্ন আদিবাসী ও জনজাতি গোষ্ঠীর ভাষায় তাঁর সহজ যাতায়াত। এরকম বেশ কয়েকটি ভাষার পঠন-পাঠন ও চর্চায় তাঁর ভূমিকা প্রশ্নাতীত। ফলে এ বিষয়ে তাঁর আলোচনা একেবারেই ভিন্ন গোত্রের এবং দিকনির্দেশক। এ বইতে রয়েছে ভাষা ও ভাষাতত্ত্ব সংশ্লিষ্ট এরকম আরও কয়েকটি প্রবন্ধ। যেমন উরাঁউ বা ওরাঁওদের ভাষা নিয়ে একটি প্রবন্ধে ভাষার দিক দিয়ে তিনি তাঁদের শ্রেণিবিভাগ করেছেন। আবার র-প্রত্যয়ের উৎস নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি অসুর সম্প্রদায়ের কথা বিশদে বলেছেন। বাঙালি ও বঙ্গাব্দের উৎস একটি প্রবন্ধে তিনি যেমন বঙ্গাব্দের উৎস চিহ্নিত করেছেন, তেমনি মেঘদূত-এর ছন্দ নিয়ে আলোচনার সূত্রে এই কাব্যের পরিচিত কয়েকটি শব্দ নিয়ে সংগত প্রশ্ন তুলেছেন। আরেকটি প্রবন্ধে ‘গান্ধী’কে ‘গাঁধী’ লেখার যে কোন যুক্তিই থাকতে পারে না, তা স্পষ্ট করেছেন।

     35.00
  • লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া
    অসমিয়া লোককথা

    অসমিয়া লোককথার প্রথম সংগ্রাহক ছিলেন লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া (১৮৬৮- ১৯৩৮)। তিনি তৎকালীন অসমের বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন জনের কাছ থেকে এগুলি সংগ্রহ করেছিলেন। লিখিত বা মুদ্রিত রূপ দেবার আগে তিনি ‘নিজের ভাষায় তা সম্পূর্ণ নতুন করে’ লেখেন। নাম দেন ‘বুঢ়ি আইর সাধু’— বুড়িমায়ের রূপকথা। প্রকাশিত হয় ১৯১২ সালে। এটি অসমিয়া সাহিত্যে ক্লাসিক গ্রন্থ হিসেবে মর্যাদা পায়।

    লোককথা পত্রিকার তৃতীয় সংখ্যায় সেই ক্লাসিক গ্রন্থের প্রথমাংশ।

     50.00
  • সন্জী‌দা খাতুন
    তাঁর গান : আমার কাছে

    বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শ্রীময়ী সন্‌জীদা খাতুনের রবীন্দ্রসংগীত, রবীন্দ্রসাহিত্য ও সম্পর্কিত বিষয়ে রচিত একগুচ্ছ প্রবন্ধের সংকলন।

     50.00
Shop
Filters
0 Wishlist
0 Cart